অনাগত এক শিশুর জানা নেই তার বাবা কে, কাঁদছে তার মা।

ইবাদুল রানা-গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জন্ম যেখানে আজন্ম পাপ। সেই পাপের মধ্যেই পার হয়েছে নয়টি মাস। পৃথিবীর আলো দেখছে মাকে দেখেছে, প্রাকৃতিক বিশুদ্ধ পরিবেশ দেখেছে, দেখা মিলছেনা শুধু জন্মদাতা পিতার। দেখেনি বললেও ভুল হবে সে জানেই না তার পিতা কে? কিন্তু মা বলেছে যার নাম,সেই ব্যক্তি অস্বীকার করছে,এমনকি ন্যায়বিচারে কাছে দারস্থ হয়ে ডি.এন.এ পরিক্ষার ফলাফল কারসাজির যাতাকলে হেরে যায় সন্তানের পিতৃ অধিকার। এমন হৃদয় বিদারক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার গোলাবাডিয়া গ্রামের ইদ্রিস শিকদারের মেয়ে আশা আক্তার মরিয়ম। উনিশ বছর বয়সের যুবতী মরিয়মের ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারীতে পারিবারিক ভাবে বাগের হাট জেলার কচুয়া থানাধীন, বাড়ৈই খালি গ্রামের মিঠু শেখের ছেলে তানভীর শেখের সাথে বিয়ে হয়। জীবিকার তাগিদে বিয়ের চার মাস পরে বিদেশ পাড়ি মজায় তানভীর। স্বামী বিদেশে আর এদিকে আশা আক্তার মরিয়ম চাচা শশুর ফুয়াদ শেখ এর ছেলে মোঃ রানা শেখের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে, যা দৈহিক সম্পর্কে রুপ নেয়।আশা অক্তারের ভাষ্য মতে মোঃ রানা শেখ তাকে বিভিন্ন প্রলোভনে ধর্ষন করে। সময়ের সাথে সাথে আশা আক্তারের কোল জুড়ে জন্ম নেয় এক অনাগত শিশু। শিশুটির বয়স দশ মাস অতিবাহিত হতে চলছে এই পৃথিবীর বুকে কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য জন্মদাতা পিতার পরিচয় এখনও তার জানা নেই। মায়ের কাঁধে করে পথে প্রান্তরে আদালতের আঙ্গিনায় শিশু রমজান একরাশ আশা নিয়ে খুজছে তার বাবাকে।রমজানের চোখে মুখের ভাষা বলছে বাবার বুকে জড়িয়ে একটু আদর পেতে। এই পৃথিবীতে রমজান আলীর ঠিকানা হলেও বাবার ঠিকানা খুঁজে চলছে সে হারিয়েছে তার জন্ম নিবন্ধনের অধিকার ভবিষ্যতে পিতৃ পরিচয়হীন এ শিশু কোথায় নিয়ে দাড়াবে তার মা। পরিবারসহ আত্মীয় স্বজনের দাবী বিভিন্ন জায়গায় ধরনা ধরতে আর আদালত এবং ডি,এন, এ পরীক্ষা করতে এখন নিঃস্ব প্রায়। একবিংশ শতাব্দীতে এসে শিক্ষিত সমাজ পিতৃপরিচয়হীন রমজানের পিতার পরিচয় নিশ্চিত করে দশ মাসের শিশুটির দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্যে সরকার ও রাষ্ট্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া অতীব জরুরী বলে মনে করে সুশিল সমাজ।

ডিসেম্বর 3, 2024 - 18:16
 0  19
অনাগত এক শিশুর জানা নেই তার বাবা কে,  কাঁদছে তার মা।

আপনার অনুভূতি কী?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow