আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে আট মাস রাস্তা বন্ধ রাখার অভিযোগ
সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের হিজলিয়া গ্রামে ৩০টি পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সিদ্দিক গাজীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্থানীয়রা ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন সুরাহা মেলেনি। জানা গেছে, পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দীর্ঘ কয়েক যুগের যাতায়াতের রাস্তাটি ঘেরাবেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে ভুক্তভোগীরা। অবরুদ্ধ থাকায় স্থানীয় বসতিরা বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তা দিয়ে অন্যত্র যেতে পারছে না। স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিক গাজী নিজের দলীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে আট মাস এই রাস্তাটির যাতায়াত বন্ধ করে রেখেছেন। এঘটনায় ভুক্তভোগী প্রায় ৩০টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। কোন উপায় না পেয়ে যে যার মতো যাতায়াত করতে থাকেন। এ সমস্ত বিষয়টি উল্লেখ করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও এই বিষয়টি এখনো সমাধান হয়নি বলে জানা গেছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাস্তা সংস্কার করে ইটের সলিং তৈরি করা হয়েছে, সরকারের অধীনস্থ এই রাস্তাটি কিভাবে দীর্ঘদিন বন্ধ রেখেছে এটা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। স্থানীয় খলিল সানা জানান, সিদ্দিক গাজীসহ তার বংশের অন্যান্যদের সঙ্গে একটি জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে এবং সরকারদলীয় আওয়ামী লীগ সমর্থক হওয়ায় তারা পেশিশক্তি প্রয়োগ করে আকস্মিক বাড়ির সামনে দিয়ে যাতায়াতের ইটের সলিংটি ঘেরাবেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। কয়েকবার জোর করে ঘেরাটি তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলেও স্থানীয়রা ব্যর্থ হয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। তবে সেখান থেকে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা করেনি। বাধ্য হয়ে উপজেলা পরিষদ ও ইউএনও’র কাছে অভিযোগ দিলেও সেখান থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বর্তমানে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে এখানককার ৩০টি পরিবার। স্থানীয় সবুর সানা জানান, যে ইটের সলিংটি সিদ্দিক গাজী কর্তৃক বন্ধ করা হয়েছে এটি কয়েক যুগ ধরে আমরা যাতায়াত করে আসছি। নিজের দলীয় প্রভাবসহ তারা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় এই কাজটি করেছে। তাদের সঙ্গে জমি জায়গা নিয়ে সামান্য একটি সমস্যা তৈরি হয় যার ফলশ্রুতিতে সিদ্দিক গাজীসহ তার অন্যান্য ভাইয়েরা মিলে সরকারি ইটের সলিং ঘেরা দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। এটা জোরপূর্বক ভাবে তারা বেশি শক্তি প্রয়োগ করে করেছে আমরা অনেক দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোন সমাধান করতে পারেনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিদ্দিক গাজী জানান, যাতায়াতের এই রাস্তাটিতে আমাদের বংশের অনেকের সম্পত্তি রয়েছে। তাদের সঙ্গে জমি জায়গা সংক্রান্ত একটি বিরোধের কারণে আমরা যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছি। সরকারি কোন ইটের দিয়ে রাস্তা করা হয়নি। আমার ভাই মেম্বর ছিলো ব্যক্তিগতভাবে ইট দিয়েছিলো রাস্তায়। প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী জানান, এই ধরনের বিষয়টি অনেক আগে কয়েকবার শুনেছিলাম সে সময়ে প্রাথমিক বসবাসি করে কোন সমাধান সম্ভব হয়নি পরবর্তীতে কি অবস্থায় রয়েছে খোঁজ খবর না নিয়ে বলতে পারছি না।
আপনার অনুভূতি কী?