ইসরায়েলের অস্ত্র কারখানায় হামলা চালিয়েছে লেবানিজ যোদ্ধারা
ইসরায়েলের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং হাইফার উত্তরে রাফায়েল প্রতিরক্ষা কোম্পানিতে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। সম্প্রতি ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে বড় ধরনের যুদ্ধের শঙ্কার মধ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে। রোববার এক বিবৃতিতে এ হামলার কথা জানিয়েছে লেবানন ভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের অস্ত্র কারখানায় কয়েক ডজন রকেট দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে এবং এই হামলায় ফাদি ১, ফাদি ২ এবং কাতিউশা রকেট ব্যবহার করা হয়েছে। বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, গাজা উপত্যকায় অবিচল ফিলিস্তিনি জনগণ এবং তাদের সাহসী ও সম্মানিত প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবং গত মঙ্গলবার ও বুধবার লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় ইহুদিবাদী শত্রুদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। এতে ইসরায়েলের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের পাশাপাশি রাফায়েল কোম্পানিকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।রাফায়েল ইসরায়েলি সরকারের তিনটি বৃহত্তম প্রতিরক্ষা কোম্পানির মধ্যে একটি, যেখানে ১০ হাজার কর্মচারী এবং অসংখ্য উপঠিকাদার ও সেবাদানকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। হিজবুল্লাহ গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে নিয়মিতভাবে ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থার সামরিক অবস্থানগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে। গাজা ও দক্ষিণ লেবাননের ওপর দখলদার বাহিনীর আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে হামলাগুলো চালানো হচ্ছে। ইসরায়েল গত ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজার ওপর নির্মম আগ্রাসন শুরু করে। হামাস ওই দিনই ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চালানো ইসরায়েলি দখলদারিত্বের নির্মমতায় প্রতিশোধ নিতে নজিরবিহীন অপারেশন চালিয়েছিল। এর পর থেকে ইসরায়েল দুই মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনি বসবাসকারী অঞ্চলটিতে সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। যেখানে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য এবং পানির সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্রমাগত হামলা চালিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৮১৮ জন। সূত্র: মেহের নিউজ
আপনার অনুভূতি কী?