কালিগঞ্জে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবায় মোবাইল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
বি এম বাবলুর রহমান সাতক্ষীরা প্রতিনিধি কালিগঞ্জের কুশুলিয়াতে ঘুর্ণিঝড় রেমাল পরবর্তী প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত। সোমবার (১১ নভেম্বর) উপজেলার ভদ্রখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০ টায় শুরু হয়ে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উদয়ন বাংলাদেশ ও সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন এন্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সি আই পি আর বি) সহযোগিতায় ও জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপএ) থেকে আর্থিক সহযোগিতায় স্থানীয় গর্ভবতী মা প্রসব পরবর্তী মা শিশু ও কিশোরীদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার প্রদান করার জন্য মোবাইল হেলথ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বিনামূল্যে গর্ভবতী মহিলাদের রক্ত পরীক্ষা প্রস্রাব পরীক্ষা রক্তচাপ পরীক্ষা ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও জরায়ু মুখে পরীক্ষা ও কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যজনিত স্বাস্থ্য প্রদান সহ সফল দম্পতিদের পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হয়েছে । ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ও ক্যাম্প পরিদর্শনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল সালাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক গাজী বশির আহমেদ, কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার বুলবুল কবির, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল সেলিম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা পুলক চক্রবর্তী, সাতক্ষীরা মেডিকেল অফিসার ডাক্তার জয়ন্ত সরকার ও ডাক্তার ইসমত জাহান সুমনা, প্রকল্পের প্রজেক্ট কো- অর্ডিনেটর ডাক্তার শাহিনা ও উদয়ন বাংলাদেশ জেলা সমন্বয়কারী সুশান্ত মল্লিক এই ক্যাম্পের রোগী দেখেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক্যাল কট্রা সেপশন ডাক্তার প্রবীর মুখার্জি। এই প্রকল্পটি সাতক্ষীরা জেলায় ২০২৪ সালে শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন দুটি ও কুশলিয়া ইউনিয়নে তিনটি ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। মোট ২৫ টি ক্যাম্পের মধ্যে ইতিমধ্যে ২১ টি ক্যাম্প সম্পন্ন হয়েছে। ২৫টি স্বাস্থ্যসেবা প্রজনন ক্যাম্প সম্পন্ন হলে এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ হাজার গর্ভবতী মা স্বাস্থ্য ও প্রজনন সেবা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আপনার অনুভূতি কী?