দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পণ্যের দর তালিকা নেই- মনিটরিং ব্যবস্থা রাখার দাবি
মোঃ শফিকুল ইসলাম পিকুল (স্টাফ রিপোর্টার) অভয়নগরঃ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এক শ্রেণীর অসাধু অতি মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা প্রচলিত আইন অমান্য করে বুক ফুলিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। বিশেষ করে যশোরসহ ৮টি উপজেলায় ও দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে রাখা হয়নি পণ্যের দর তালিকা। দফায় দফায় বৃদ্ধি করছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দর, বাধ্য হয়ে অতি লোভী ব্যবসায়ীদের খেয়াল খুশি দরে ক্রয় করতে হচ্ছে ভোক্তা জন সাধারণের। এমনিভাবে ক্রেতাদের পিষ্ট করে ব্যবসায়ীরা তিল থেকে তাল বনে গেলেও দেখার কেউ নেই। ভোক্তা সাধারণের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং এর কাতর দাবি থাকলেও সরকারি কোন মহল নজরদারি করেন না। আলোচিত বিষয়ে দেখভাল করার দায়িত্ব সরকারি কোন বিভাগের উপর ন্যস্ত আছে সেটা জানেনা কোন ভোক্তা সাধারণ, যে কারণে মধ্যস্বত্বভোগীদের বেঁধে দেওয়া দরে লোকসান হলেও বাধ্যতামূলক বিক্রি করতে হয় । ৪ সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১১০টাকা, খুচরা বিক্রি ১১৫টাকা। রসুন পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২২০টাকা, খুচরা বিক্রি ২৪০টাকা। হলুদ পাইকারি ২৮০, খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩০০টাকা। সুপার তেল লিটার প্রতি ৩০টাকা ও সয়াবিন ৫/৭টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুরূপভাবে পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ কেজি প্রতি ২০টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী দিনের পর দিন বাড়তে থাকার কারণে হত দরিদ্র শ্রমজীবী, কর্মজীবী মানুষ আয়ের সঙ্গে ব্যয় বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে। সচেতন সমাজ বলেছেন, এই মহা অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারি ভাবে ক্রয়-বিক্রয়ের একটা নীতিমালা তৈরি হওয়া একান্তই দরকার নচেৎ ভোক্তা সাধারণ একের পর এক অতি মুনাফা লোভীদের যাতাকলে পিষ্ট হতে থাকবে চিরকাল এতে কোন সন্দেহ নেই।
আপনার অনুভূতি কী?