ফরিদপুর শহরতলীর ভাটি লক্ষ্মীপুর একটি মহিলা মাদ্রাসার পাশে এক তরুণের ফেলে রাখা লাশ
মোঃ রুহুল আমিন ভূইয়া (ফরিদপুর প্রতিনিধি - আজ ৩ জানুয়ারি ফরিদপুরের ঘটে গেল একটি হৃদয়বিদারক মর্মান্তিক ঘটনা। ফরিদপুরে হোসাইন নামের ১৩ বছর বয়সের এক কিশোর এর লাশ বাটি লক্ষীপুর শুক্রবার সকালে গ্রামবাসী দেখতে পেয়ে তার পরিবার ও প্রশাসনকে জানায়, হোসাইন গত (২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার) অটোরিকশা নিয়ে বের হয় কিন্তু বাসায় ফেরেনি, তার পরিবার তার গ্রাম ও পাশে আশেপাশে মাইকিং করে তার হারানোর বিষয় নিয়ে। আজ শুক্রবার ৩ জানুয়ারি সকালের ফরিদপুর শহরের ভাটি লক্ষ্মীপুর একটি মহিলা মাদ্রাসার বাউন্ডারি দেয়ালের পাশে ফেলে রাখা লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে জানান, খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার একটা পুলিশের দল ও সি আই ডি ক্রাইম সিন এর টিম ঘটনা স্থলে পৌঁছায়। নিহত হুসাইনের বাড়ি শহরের চর টেপাখোলা বেপারী পাড়া। তার বাবার নাম মৃত খোকা বেপারী। মাত্র এক সপ্তাহ আগে মারা গেছেন তার বাবা, মায়ের নাম শেফালী বেগম, চাচাতো ভাই ওবায়দুর রহমান বলেন ৩ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিল হুসাইন, বড় বোন গুলোর বিয়ে হয়ে গেছে। এক সপ্তাহ আগে তার বাবা মারা যাওয়ার পর উপার্জনের অবলম্বন হিসেবে হোসেনকে একটা নতুন রিক্সা কিনে দেন তার আত্মীয়-স্বজনরা। সেই রিক্সা নিয়ে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকালের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় হোসাইন। রাতে বাড়িতে না ফেরাই এলাকায় মাইকিং করা হয়। এরপর শুক্রবার সকালের লোক মারফতে তার লাশ পাওয়া গেছে বলে তাদের পরিবার জানতে পারেন। সর জমিনে গিয়ে দেখা যায়, দড়ি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাস রোত করে হত্যা করা হয়েছে হোসাইনকে, নাক দিয়ে ফেনা জাতীয় কিছু এসে জমা হয়ে রয়েছে। দুটি হাত দুই পাশে মেলে রাখা আশেপাশে জড়ো হয়েছে উৎসুক জনতা। মাত্র একটি রিক্সার জন্য এমন একটি কিশোরকে হত্যাকান্ডের ঘটনা সবাই শোকাহত। কোতোয়ালি থানার এসআই সনাতন সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয়দের মারফতে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে, পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির ক্রাইম সিনের টিম ঘটনার তদন্ত করছেন। আশা করি খুব শীঘ্রই এই ঘটনার সত্যতা সামনে আসবে । হুসাইনের পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের অতি শীঘ্রই আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে করে ভবিষ্যতে আর কোন মার কল খালি না হয়, সজন হারানোর বেদনা কেবল পরিবার পরিজন আত্মীয়-স্বজনী বুঝতে পারেন। বর্তমানে সমাজে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের পরিমাণ অনেক বেড়ে চলেছে, চুরি ডাকাতি ছিনতাইসহ আরো নানান ধরনের অপরাধ হচ্ছে। একটা অটো রিক্সার জন্য একটা ১৩ বছর বয়সী যুবককে হত্যা করা, এরকম পরিস্থিতিতে আমরা যারা সাধারণ মানুষ আমাদের নিরাপত্তার জন্য সবার সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
আপনার অনুভূতি কী?