যশোরে ফল ব্যবসায়ীকে আটকের পর ৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে আদালতে মামলা

যশোর প্রতিনিধি: যশোরে ফল ব্যবসায়ীকে আটকের পর ৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় কোতোয়ালি থানা পুলিশের বর্তমান ওসি অপারেসন্স এবং সাবেক ওসি তদন্তসহ ১২জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার শহরের বকচর হুশতলার সেলিম মিয়ার ছেলে ফল ব্যাবসায়ী মনির হোসেন এই মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবদন দাখিলের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) যশোরকে আদেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন, কোতোয়ালি থানার পুলিশের পরিদর্শক অপারেসন্স দেবাশীষ রায়, সাবেক ওসি তদন্ত আবুল বাসার, এসআই হাসানুর রহমান, এএসআই রাজন গাজী, এএসআই ইসমাইল হোসেন, এএসআই নুরুন্নবী, কনস্টেবল আবু বক্কার, মনিরুল ইসলাম, মোশারফে হোসেন, মিলন হোসেন, যশোর উপশহর ই-ব্লকের শ্রী কান্তি ভূষণ মজুমদারের ছেলে নিলু মজুমদার ও শহরের পুরাতন কসবার মৃত আবু তালেব মোড়লের ছেলে আতিক বাবু। বাদী মামলায় জানিয়েছেন, তিনি যশোর শহরের মণিহার মোড়স্থ্য ফল পট্টিতে ২৫ বছর যাবৎ ফলের ব্যবসা করেন। ২০১৮ সালের ২৫ মে রাত ১০টার দিকে মণিহার মোড়স্থ্য কোকো আবাসিক হোটেলের সামনি সিটি ইলেক্ট্রিক দোকানে বসে ছিলেন বাদী। ওই সময় সকল আসামি তাকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখে। এরপরে তার আত্মীয় স্বজন এসে থানা হাজতে মনির হোসেনকে দেখতে পায়নি। আসামিদের কাছে জানতে চাইলে বলা হয়েছে তাকে আটক রাখা হয়েছে। চারদিন আটক রেখে বাদীর স্বজনদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে দুইটি মিথ্যা সাজানো মামলায় আদালতে সোপর্দ করে। এই ঘটনায় ওই সময় থানা বা আদালতে মামলা করতে সাহস পাননি বাদী। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পরে পরিবেশ অনুকুলে আসায় আদালতে এই মামলাটি করা হয়েছে।

অক্টোবর 22, 2024 - 12:48
 0  2
যশোরে ফল ব্যবসায়ীকে আটকের পর ৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে আদালতে মামলা

আপনার অনুভূতি কী?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow