যশোরে সবজিতে আগুন,বেড়েছে ডিম-মুরগীর দাম
যশোর প্রতিনিধি: টানা ৩ সপ্তাহ ধরে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে সবজির দাম। বাজারদর নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সংস্থার অভিযানে উল্টো প্রভাব পড়েছে। কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বাজারদর। সারাদেশের মতো যশোরের বাজার পরিস্থিতি একই রকম। অথচ সবজি চাষে যশোরের অবস্থান শীর্ষে। বিক্রেতাদের দাবি-ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন সবজি বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমানোর সুযোগ নেই। তবে অজুহাত মানতে নারাজ ক্রেতারা। তারা বলছেন-কৃষক দাম পাচ্ছে না অথচ আড়তে আসার বেড়ে যাচ্ছে দাম। অন্যদিকে, ডিম-মুরগীর দামও হুহু করে বেড়েছে। এ সবই সিণ্ডিকেটের কারসাজি-অভিযোগ ক্রেতা ভোক্তা মহলের। যশোর বড় বাজারসহ আশপাশের বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে-পটল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, বেগুন ১৬০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এরবাইরে পেঁপে ৪০ টাকা, কচুরমুখি ৮০ টাকা, প্রতিপিচ ছোট লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা ও সবুজ-লাল সবজির আটি (সর্বোচ্চ আড়াইশ গ্রাম) ২০ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। কাঁচা মরিচের পোয়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো, গাজর ও বরবটি ১০০ টাকার নিচেই নেই। বেগুনের দাম ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই অবস্থা। ভোক্তা মহলের অভিযোগ-ভোক্তা অধিকার ও সমন্বয়করা বাজার তদারকিতে নামার পর ডিম-মুরগীসহ সবকিছুর নাম বেড়ে গেছে। একদিনেই ২০ টাকা বেড়ে ডজন হয়েছে ১৬০ টাকা। তাও ছোট আকারের পোল্ট্রি ডিম। বাজারে ব্রয়লার ২০০ টাকা, সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকার বেশি। দেশি মুরগীর কেজে প্রায় ৫শ টাকা ছুইয়েছে। তাও আবার ক্রস-বলছেন ভোক্তা মহল। শুধু যশোর নয়, সব এলাকায় একই পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় বাজারে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। তারা জানান, নিম্ন মধ্যবিত্তরা আগে মাছ ও মুরগি না কিনে শাকসবজি বেশি কিনত। এখন তো দেখছি মাছ ও মুরগির চেয়ে সবজির দাম বেশি। ক্রেতাদের অভিযোগ, অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতো শাকসবজির বাজারও এখন শক্তিশালী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং না হওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, শুধু যশোর শহর নয়। সারাদেশে একই অবস্থা বিরাজ করছে। আর যশোরের উৎপাদিত সবজির সিংহভাগ চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন মোকামে। অতিরিক্ত লাভের কারণে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। তারপর মধ্যসত্ত্বভোগীরা দাম বাড়িয়ে ডাবল করে দিচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন-আমরা আড়ৎ থেকে কিনে সামান্য লাভ রেখে বিক্রি করি। কৃষকের ক্ষেত থেকে সরাসরি সবজি খুব বেশি আসছে না। আসলেও সেখানে ভাগ বসাচ্ছে সিণ্ডিকেট। এই সিণ্ডিকেটে কারা ? তা নিয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না খুচরা বিক্রেতারা।
আপনার অনুভূতি কী?