রমজানের আগে খুলনার বাজারে দাম দ্বিগুণ, মাংসের মূল্য চড়া
খুলনা প্রতিনিধি রমজানের আগে ইফতার সামগ্রীর বাজারে বড় ধরনের মূল্যবৃদ্ধি দেখা গেছে। বিশেষ করে বেগুনি, শসা ও লেবুর দাম দ্বিগুণ হয়েছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও বিক্রেতারা চাহিদার অজুহাতে বেশি দামে বিক্রি করছেন এসব পণ্য। নগরীর কেসিসি সন্ধ্যা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগেও ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুন এখন কেজি প্রতি ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসার দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৮০ টাকা হয়েছে। লেবুর হালির দাম ২০-৩০ টাকা থেকে দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গেছে। এছাড়া মাংসের বাজারেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। নগরীর মিস্ত্রিপাড়া, রূপসা ও ময়লাপোতা বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০-২১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা কিছুদিন আগেও কম ছিল। সোনালি মুরগি ৩২০-৩৪০ টাকা এবং লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বাজারে বাড়তি দামের বিষয়ে কেসিসি সন্ধ্যা বাজারের এক বিক্রেতা জানান, খামার থেকে মুরগির সরবরাহ কম হওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে, তবে রমজানে মুরগির দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই থাকবে বলে আশা করছেন তিনি। কেসিসি সন্ধ্যা বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, “দুই দিনের ব্যবধানে আড়তে পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। সরবরাহ থাকলেও চাহিদার কারণে আড়ৎদাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, ফলে আমরা ক্রেতাদের কাছে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হচ্ছি।”তাসলিমা নামে এক ক্রেতা জানান, "এ বছর ভাবছিলাম রমজানে বাজার স্বাভাবিক থাকবে, কিন্তু চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দামও বেড়ে যাচ্ছে। গরুর মাংস আগে ৭০০ টাকা কেজি ছিল, কেসিসি নির্ধারিত দাম না কমিয়ে বরং ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে বেশি দামে মুরগি কিনতে হচ্ছে।"ক্রেতারা বলছেন, রমজানের আগে বাজার মনিটরিং বাড়ানো না হলে নিত্যপণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে, যা সাধারণ মানুষের জন্য ভোগান্তির কারণ হবে।

আপনার অনুভূতি কী?






