সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ রুখতে সাহায্য ইসলামী আন্দোলনের
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেছেন, ঢাকা সিটিতে চাঁদাবাজ রুখতে পুলিশ প্রশাসনকে সহায়তা করা হবে। সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) শেখ ফজলে বারী মাসউদের নেতৃত্বে নগর উত্তরের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপির কমিশনার মো. মাইনুল হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সব সময়ই শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণের পক্ষে কাজ করে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিল্লিতে উড়াল দিয়েছে। এ থেকে পুলিশকে শিক্ষা নিতে হবে। পুলিশ কখনো দলদাস হলে তাদের পরিণতি এমনই হয়ে থাকে। পুলিশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে হলে তাদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অনেক কাজ করতে হবে। এ ছাড়াও তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীকে জনবান্ধব ও নৈতিকভাবে উন্নত করতে এই বাহিনীর বিভিন্ন স্তরে উলামায়ে কিরামের পদায়নের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন মুফতি মো. মাছউদুর রহমান, মুফতি নিজাম উদ্দিন, আলাউদ্দিন, আমিনুল হক তালুকদার, নাজমুল হাসান প্রমুখ।উল্লেখ্য, এর আগে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির, চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, গত ৫ আগস্ট যে উদ্দেশ্য নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছে সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি। এখনো দখলবাজি, চাঁদাবাজি চলছে। তিনি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে পা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা শহরের রাজবাড়ি মাঠে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা এবং ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফয়জুল করিম বলেন, সামনে দুর্গাপূজায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বড় আয়োজন করে দুর্গা পূজা করবেন। তবে ধর্ম যার যার, উৎসব তার তার। এ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হলে ইসলামী আন্দোলন তা প্রতিহত করবে।
আপনার অনুভূতি কী?