সাংবাদিকদের কেউ হুমকি দিলে আমাদের জানাবেন, আমরা লড়ব: সারজিস

নিজস্ব প্রতিবেদক ঠাকুরগাঁও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি নেতা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। মতপার্থক্যের জন্য খুনি হাসিনার দোসররা সুযোগ নিচ্ছে। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ষড়যন্ত্র রয়েছে। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ে যে আমলারা ছিল খুনি হাসিনা ওইসব চেয়ারে বসিয়ে রেখেছিল, সেটির প্রমাণ গতকালের আগুন। চাঁদাবাজি-দখলদারিত্ব ও মামলা বাণিজ্যের জন্য জুলাই-আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানে এত মানুষ প্রাণ দেইনি।’ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব হলরুমে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সারজিস বলেন, ‘আমরা জানি ঠাকুরগাঁওয়ে মামলা বাণিজ্য হচ্ছে। মামলায় নাম না দেওয়ার জন্য একবার টাকা নেয়া হয়, আর মামলা থেকে নাম কাটানোর জন্য একবার টাকা নেয়া হয়। ঠাকুরগাঁওয়ে চাঁদাবাজি শুরু হয়ে গেছে। বড় বড় ব্যবসায়ীদের রাতের বেলায় বাসায় ডেকে আনা হয়, ওখান থেকেই টাকার পরিমাণ ঠিক করা হয়। এগুলোর জন্য তো এত মানুষ জীবন দেয়নি। যেভাবে ঠাকুরগাঁওয়ে চাঁদাবাজি, মামলা বাণিজ্য ও দখলদারিত্ব শুরু হয়েছে, এভাবে যদি চলতে থাকে মনে করব এ গণঅভ্যুত্থানকে পুঁজি করে টিস্যুর মতো ব্যবহার করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি শক্তি। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে সমুন্নত রাখতে জাতীয় নাগরিক কমিটি কাজ করবে। জাতীয় নাগরিক কমিটির কাজ হলো লিডার তৈরি করা। আগামীর বাংলাদেশে কীভাবে আরো পরিচর্যা করা যায় সেই কাজটাই জাতীয় নাগরিক কমিটি সে তার জায়গা থেকে করবে।’ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এর আগে সাংবাদিকরা চাইলেও সত্য প্রকাশ করতে পারেনি। এখন সত্য বলার দিন আসছে, কিন্তু এখনও যদি আমরা কুক্ষিগত হয়ে যাই, এ সুযোগ বারবার আসবে না। সাংবাদিকরা যদি সত্য তথ্য প্রকাশ করতে গিয়ে কোনো জায়গায় কোনোভাবে হুমকি বা হয়রানির শিকার হন তাহলে আমাদের জানাবেন, আমরা এক হয়ে লড়ব।’ সারজিস আলম বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠুভাবে হয়নি। তাই আমরা চাই আগামী নির্বাচন যেন শেখ হাসিনা মার্কা নির্বাচন না হয়, সেজন্য সংস্কার প্রয়োজন। তবে সংস্কার একটি সময়সীমার মধ্যে করতে হবে। সংস্কার করতে গিয়ে নির্বাচনের সময় যাতে ফুরিয়ে না যায়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্যাতিত হয়েছে, জেলে গেছে। তবে নির্বাচনের আগে প্রত্যেকটি রাজনীতি দলকে সময় দেওয়া উচিত, যাতে তারা দলগুছিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারে।

ডিসেম্বর 26, 2024 - 19:35
 0  6
সাংবাদিকদের কেউ হুমকি দিলে আমাদের জানাবেন, আমরা লড়ব: সারজিস

আপনার অনুভূতি কী?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow