সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুনে পুড়ে নিহত সূর্যের লাশ উত্তোলন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দিনাজপুরের হিলি পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিল হোসেন চলন্তের বাড়িতে আগুনে পুড়ে নিহত আসাদুজ্জামান নুর সূর্যের (১৮) লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঘটনার ৩৫ দিন পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা ইয়াসমিন ও পুলিশের উপস্থিতিতে পৌরসভার বড় ডাঙ্গাপাড়া কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় হাকিমপুর থানার ওসি মো. দুলাল হোসেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আরিফ হোসেনসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত সূর্য ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে। এলাকা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা পৌর মেয়র জামিল হোসেনের বাড়িতে ওইদিন বিকেলে আগুন দেয়। সেদিন রাতে ওই বাড়ি থেকে আসাদুজ্জামান সূর্য ও নাঈম ইসলামের দগ্ধ লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। ময়নাতদন্ত ছাড়াই কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা হয়।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাকিমপুর থানার এসআই আরিফ হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আসাদুজ্জামান সূর্য ও পাঁচবিবি থানার নাঈম ইসলামের লাশ হিলি পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিল হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের লাশ দাফন করেছিল পরিবার। মামলার তদন্তের স্বার্থে আমরা লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করি। আদালত অনুমতি দেওয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ তোলা হয়েছে। লাশ তোলার পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ১৯ আগস্ট এ ঘটনায় হাকিমপুর থানায় মামলা করেন সূর্যের বড় ভাই সুজন (২৮)। মামলায় সাবেক মেয়র জামিল হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ, সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৯০ থেকে ১০০ জনকে আসামি করা হয়।
আপনার অনুভূতি কী?