অর্থাভাবে চিকিৎসা এগোচ্ছে না আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ রায়হানের
মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকালে গাজীপুরের সফিপুর এলাকায় আনসার একাডেমির সামনে গুলিতে আহত হন কলেজ শিক্ষার্থী রায়হান মিয়া। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। তবে দরিদ্র পরিবারের সন্তান রায়হানের চিকিৎসায় অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে। টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছে না তার পরিবার।
মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকালে গাজীপুরের সফিপুর এলাকায় আনসার একাডেমির সামনে গুলিতে আহত হন কলেজ শিক্ষার্থী রায়হান মিয়া। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। তবে দরিদ্র পরিবারের সন্তান রায়হানের চিকিৎসায় অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে। টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছে না তার পরিবার।
গাজীপুর সদরের ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান মিয়া (২২)। এক হাত থেঁতলানো ছাড়াও পুরো শরীরে অসংখ্য ছররা গুলির ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
জানা গেছে, রায়হান মিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট গাজীপুরের কালিয়াকৈরের শফিপুরে আনসার একাডেমির সামনে গুলিতে গুরুতর আহত হন। পরের দিন ৬ আগস্ট রায়হান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ তলায় বার্ন (ব্লু) ইউনিটের ৪১৯ নম্বর (পুরুষ) ওয়ার্ডে ৭ নম্বর বেডে ভর্তি হন।গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার হরিরামপুর ছাপিপাড়া এলাকার কৃষক রমজান আলীর ছেলে রায়হান। তিনি গোবিন্দগঞ্জ থানার নাকাইহাট কলেজের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং ক্রোড়গাছা বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি গাজীপুর সদরের ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে লেখাপড়া করছেন।
রায়হানের স্বজনরা জানান, গুলিতে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রায়হান। পরে তাকে লাঠি ও পায়ের বুট দিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে রায়হান মারা গেছে ভেবে তাকে পাশের সীমানা প্রাচীরের ওপর দিয়ে বাইরের নালার মধ্যে ফেলে দেয়। পরে এলাকাবাসী তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।রায়হানের সহপাঠী নাঈমা সুলতানা জানান, পারিবারিক অসচ্ছলতার জন্য রায়হান গাজীপুর সদরের ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজে লেখাপড়ার পাশাপাশি গাজীপুরের সফিপুর এলাকায় ইকো টেক্স নামের এক পোশাক কারখানায়ও চাকরি করত।
রায়হানের মা রাশিদা বেগম বলেন, রায়হান চাকরির বেতন থেকে তার লেখাপড়ার খরচ চালানো ছাড়াও মাস শেষে গাইবান্ধার গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠাত। এখন পর্যন্ত অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য ১ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। তার এ চিকিৎসার পুরো টাকাটাই অন্যের কাছ থেকে ধার নেওয়া হয়েছে। বিনামূল্যে হাসপাতাল থেকে কিছু ওষুধ দিলেও অধিকাংশ ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। আমাদের দ্বারা তার চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া কষ্টকর। যদি সমাজের বিত্তবানরা সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন, তাহলে আমার ছেলেটাকে সুস্থ করতে পারব।
যোগাযোগ-০১৩০৫০০৯৫৭৪ (রায়হানের মা) ও ০১৭৭৬৭০৪৭৬৮ (রায়হানের বড় বোন)।
আপনার অনুভূতি কী?