আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্বে উত্তাপ বাড়ছে জনপ্রশাসনে

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা।। আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্বে উত্তাপ বাড়ছে জনপ্রশাসনে।পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উপেক্ষিত সরকারি আচরণবিধিও। বিশ্লেষকরা মনে করেন, নিজেদের দাবি জানাতে নিয়মমাফিক পথে হাঁটতে হবে সরকারি কর্মচারীদের। নতুবা কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পথ খোলা রয়েছে সরকারের সামনে। আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্বে উত্তাপ বাড়ছে জনপ্রশাসনে-পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উপেক্ষিত সরকারি আচরণবিধিও। ফাইল ছবি সম্প্রতি এ বিষয়গুলো নিয়ে বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। তাদের অনেকেই মনে করেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলপা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হওয়া উচিত সরকারের নীতিনির্ধারকদের। এছাড়া পদোন্নতি, সুযোগ-সুবিধা আর মর্যাদার ক্ষেত্রে বৈষম্য কমাতে পারলে আগামীতে জনপ্রশাসন হবে গতিশীল ও জনবান্ধব।   সরকারি চাকরিতে দীর্ঘদিন সুপ্ত থাকা আন্তঃক্যাডারদের দ্বন্দ্ব এখন রূপ নিয়েছে প্রকাশ্য বিরোধে। পাল্টাপাল্টি দাবিতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছেন জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা। নজিরবিহীন পরিস্থিতির মধ্যে জারি হয় সরকারের কঠোর বার্তা। এমন অবস্থায় কর্মসূচি কিংবা বক্তব্য-বিবৃলনায় কিছুটা নমনীয় বটে, তবে নিজেদের দাবি থেকে সরে আসেননি কোনো পক্ষই।   সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে  আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হওয়া উচিত সরকারের নীতিনির্ধারকদের, বললেন ঢাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদিক হাসান।   মূলত উপসচিব পদে পদোন্নতি সংক্রান্ত ইস্যুতেই প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে বাকি ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের। বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রতিবেদন তৈরির আগেই জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সম্ভাব্য কিছু সুপারিশ সামনে আসায় তৈরি হয়েছে এমন পরিস্থিতি। কিন্তু জনপ্রশাসনকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে এই সময়ে করণীয় কী? বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকারের কঠোর হওয়ার সুযোগ আছে, তবে প্রাথমিক অবস্থায় জোর দিতে হবে আলোচনার ওপর।   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদিক হাসান সময় সংবাদকে বলেন, সংস্কার কমিশনকে একটু সময় দেয়া উচিত। তারা তাদের মতো করে কাজগুলো গুছিয়ে করুক। সরকার সবার সাথে  আলোচনা করুক যারা স্টোকহোল্ডার আছেন, তারপর একটা ফল আসবে। সেই সময় পর্যন্ত সব পক্ষকে ধৈর্য্য নিয়ে থাকতে হবে।   তবে জনপ্রশাসনে আন্তঃবিরোধ দ্বন্দ্বের স্থায়ী সমাধান কী?   বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গতিশীল ও জনবান্ধব জনপ্রশাসনের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও যথাযথ জায়গায় পদায়ন।   জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, এখন তারা (ক্যাডাররা) অনেকটা শোভনীয় পর্যায়ে এসেছেন। আমার মনে হয় এটা নমনীয় হয়ে যাবে। আর যদি শেষ পর্যন্ত না হয়; তখন তো সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতেই হবে। কারণ সরকারের আর তো কোনো উপায় থাকবে না, আগে জনস্বার্থ দেখতে হবে।      সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতেই হবে কারণ আগে জনস্বার্থ দেখতে হবে, বললেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া। ছবি: সময় সংবাদ     ফিরোজ মিয়া আরও বলেন, পদোন্নতি বঞ্চনা কোনো ক্যাডারেই যদি না থাকে, তাহলে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য এবং ক্যাডার ক্যাডার বিরোধ এটা কিন্তু আপনা আপনি কমে আসবে।    অধ্যাপক ড. সাদিক হাসান বলেন, যদি সব ক্যাডারের সুযোগ সুবিধা সমান করা যায়, একইরকম বা কাছাকাছি করা যায়, তাহলে একটা পরিবর্তন আসবে। যদি সবাইকে সমান সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়, তাহলে এক ক্যাডারের ওপর আরেক ক্যাডারের নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতাটা থাকবে না।    

জানুয়ারি 9, 2025 - 11:48
 0  1
আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্বে উত্তাপ বাড়ছে জনপ্রশাসনে

আপনার অনুভূতি কী?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow