উপজেলা চেয়ারম্যান-ওসিসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা-মনিরামপুরে
যশোরের মনিরামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি আমজাদ হোসেল লাভলু, মনিরামপুর থানার সাবেক ওসি আলী আজম খান, দারোগা হিরোনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৪১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলাটি নথিভুক্ত হয়। মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের ইব্রাহিম মোল্যার ছেলে মুনছুর আলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৩ সালের ২২ মার্চ সকাল ৭টায় উপজেলার জয়পুর কাছারি বাড়ি নাজমুলের দোকানের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুর নির্দেশে ওসি আলী আজম খান হত্যার উদ্দেশে আনিছুর রহমানকে গুলি করেন। গুলি আনিছুরের বাম পেটে লেগে ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। আনিছুর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক মৃত্যুবরণ করেন। মামলার ৬নং আসামি বাদল সিংহ তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে শরিফুল ইসলামকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তার ডান পায়ের কনিষ্ঠ আগুল উড়ে যায়। ২৯নং আসামি জয়পুর গ্রামের দায়েম দফাদারের ছেলে আলমগীর দফাদার একই গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে আলমগীরকে বাম পায়ের গুড়ালিতে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে মারাত্মক জখম করে। ৩৯নং আসামি জয়পুর গ্রামের শিমুল তার হাতে থাকা বোমা দিয়ে বাদী ও মামলার উল্লিখিত সাক্ষীদের উদ্দেশে বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করলে আসামির হাতেই বোমাটি বিস্ফোরিত হয়ে ডান হাতের কবজি উড়ে যায়।বিষয়টি স্থানীয় মসজিদের মাইকে জানালে গ্রামের অসংখ্য মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে আসামিরা ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে চলে যায়। জীবন ভয়ে এতদিন বাদী মুনছুর আলী মামলা দায়ের করতে সাহস পান নাই। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- হাকোবা গ্রামের বাবলু হোসেন, হাজরাকাঠি গ্রামের সুব্রত সিংহ, বাদল সিংহ, মজিদ সুপার, আয়ুব আলী গাজী, মুনতাজ হোসেন, আবুল কালাম, ইউনুস আলী দফাদার, তুরাব আলী গাজী, ইস্রাফিল, হামিদ, মহাসীন দফাদার, রোস্তম আলী, তুষার, সবুজ, শামীম হোসেন, বুলবুল হোসেন, শাহীন হোসেন, মিল্টন হোসেন, জামাল হোসেন, মেহেদী হোসেন, সমসকাঠির ইকবাল হোসেন, দোনার গ্রামের মুনজুর হোসেন, মারুফ হোসেন, ডিস হামিদ, আলমগীর দফাদার, হোসেন মেম্বার, জাহাঙ্গীর হোসেন, ইকবাল হোসেন, বাবু, ইমদাদুল হক মিলন, আ. সামাদ, আহাদ হোসেন, সাদ্দাম বিশ্বাস, আব্দুল হাকিম, শিমুল, তুহিন ও সুবলকাটি গ্রামের এরশাদ। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৮ জনকে
আপনার অনুভূতি কী?