কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ফরিদপুরের সাতৈর শাহী মসজিদ
মোঃ রুহুল আমিন ভূইয়া (ফরিদপুর প্রতিনিধি) ঐতিহাসিক সাতের শাহী মসজিদ ফরিদপুর জেলার বলমারী উপজেলার সাতৈর গ্রামে অবস্থিত। এটি প্রায় ৭০০ বছর আগের নাসির উদ্দিন মাহমুদ সায়ের আমলে নির্মিত, ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আজও। ফরিদপুর থেকে মোঃ রুহুল আমিন ভূঁইয়ার তথ্য চিত্রে। ফরিদপুরের সাতৈর শাহী মসজিদ বর্গাকার এই মসজিদটি বাইরে থেকে এটি ১৭.৮ মিটার ভেতর থেকে ১৩.৮ মিটার। কথিত আছে ভূমি থেকে মসজিদটির মেঝে প্রায় ০.৭৬ মিটার উঁচু ছিল। বর্তমানে এটি ০.৬ মিটার উঁচু। মোট ৯টি কন্ধ আকৃতির গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের ভিতরে পাথরের তৈরি ৪ টি স্তম্ভ, এবং দেয়ালের গা সংলগ্ন বারটি পিলার রয়েছে। গম্বুজগুলো পেনডেনটিপ পদ্ধতিতে ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়েছে। আরব দেশের মসজিদ গুলোর মত করে মোট ৩ টি মেহেরাব আছে। কেন্দ্রটি তুলনামূলক ভাবে বড়। জানা যায় শেরশাহের আমলে এই মসজিদটি তৈরি করা হয়। প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে দূর-দূরান্ত হতেই মসজিদে আসে মুসল্লিগণ। তবে নির্মাণের শুরুতে পশ্চিম দিক ছাড়াও মসজিদের ভেতর তিনটি প্রবেশপথ থাকলেও বর্তমানে মসজিদটির উত্তর ও দক্ষিণ দিকের প্রবেশপথ জানালায় রূপান্তর করা হয়েছে। সাতৈর শাহী মসজিদের পাশে ঐতিহাসিক গ্রান্ড ট্রাক রোড ১২ আউলিয়ার মাজার। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান ঐতিহাসিক সাতৈর শাহী জামে মসজিদ নির্মাণশাল নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিনিময় রয়েছে, তিনি বলেন আমরা যেটা বুঝতে পারি ইংরেজরা আসার আগে মোঘল আমলের স্থাপত্য এই অঞ্চলে যখন ইসলাম প্রচার করতে আসে তখন এই মসজিদে নির্মাণ করে। তিনি আরো বলেন সর্বোপরি আমরা বলতে পারি এটা আনুমানিক ৫০০ থেকে ৭০০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদটি নির্মাণের পর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের লোক কথা প্রচলন রয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে নামাজ আদায়, কবর জিয়ারত, মানত ও পরিদর্শনের জন্য। কালের সাক্ষী এ মসজিদটিতে অসংখ্য দর্শনার্থী এবং মুসল্লিরা এসে নামাজ আদায় করে। কিন্তু স্থান সংকলনের কারণে আগতো মুসুল্লি এবং দর্শনার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা বড় একটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়।
আপনার অনুভূতি কী?