ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কে শতবর্ষী মরা গাছের ঝুঁকি: প্রাণহানির আশঙ্কা, দ্রুত অপসারণের দাবি
প্রতিবেদন:এইচ এম ইমরান, ঝিনাইদহ—ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কে একশ বছরের পুরোনো একটি শুকনো কড়াই গাছ আজ এলাকাবাসী ও পথচারীদের জন্য বড় ধরণের ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে যে কোন সময় গাছটি সড়কে চলাচলরত যানবাহন কিংবা পথচারীদের ওপর ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মহাসড়কের ঝিনাইদহ মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের বিপরীত পাশে অবস্থিত মরা গাছটি অপসারণের জন্য এলাকাবাসী বারবার আবেদন জানিয়ে আসছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই ব্যস্ততম সড়ক ঘিরে রয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা জজকোর্ট, পুলিশ সুপার অফিস, এলজিইডি, গণপূর্ত বিভাগ এবং জেলা পরিষদের নিজস্ব কার্যালয়—যা প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচলের কেন্দ্রবিন্দু। আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শাহানুর আলম বলেন, “বৈশাখী ঝড় এখন প্রতিদিনই হচ্ছে। এই গাছটি যেকোনো সময় পথচারীদের ওপর পড়ে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। জেলা পরিষদের উচিত দ্রুত গাছটি অপসারণ করা।” আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন বাসিন্দা রয়েল জানান, “প্রতিদিন গাছটির শুকনো ডাল পড়ে যাচ্ছে, আশেপাশের লোকজন তা কুড়িয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু যেকোনো মুহূর্তে পুরো গাছটি পড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।” এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফৌজিয়া রহমান জানান, বিষয়টি সরেজমিনে দেখে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে জেলা পরিষদের ষাটলিপিকার শফি উদ্দিন জানিয়েছেন, সড়কের গাছ কর্তন ও ডাল ছাঁটাইয়ের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের প্রশাসকের যৌথ উদ্যোগে গঠিত এ কমিটিকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গাছ কর্তন কমিটির আহ্বায়ক ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনোয়ার উদ্দিন বলেন, “শুধু এই গাছ নয়, সড়কে আরও যেসব গাছ বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে, সেগুলোর তথ্যও তদন্ত প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আমরা দ্রুতই প্রতিবেদন জমা দেব।” উপসংহারে বলা যায়, সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এই শতবর্ষী মরা গাছটি বড় কোনো বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই স্থানীয়দের জোরালো দাবি, প্রাণহানি না ঘটিয়ে যেন দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

আপনার অনুভূতি কী?






