দৈনিক অভয়নগরে সংবাদ প্রকাশ করার পর ফুলতলায় চাঁদাবাজির মামলায় সুপ্ত, শোনন নামে দুই ছাত্রলীগ নেতা র্যাবের হাতে আটক হয়েছে।
খুলনার ফুলতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসলাম খানের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সাদমান খান সুপ্ত গত ১৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক ঢাকা রিপোর্ট পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আবু হামজা বাঁধনকে বাড়ি ফেরার পথে গতিরোধ করে চাঁদাদাবি করে। এ বিষয় খানজাহান আলী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। যে মামলার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে র্যাব-৬ এর একটি চৌকস টিম এজহারভুক্ত দুই আসামী সাদমান সুপ্ত ও শোনন মেহেবুবকে আটক করে। এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর দৈনিক ঢাকা রিপোর্ট সহ খুলনার একাধিক পত্রিকায় “ফুলতলা উপজেলার ১১টি এতিমখানায় সরকারী বরাদ্দকৃত চাউল আত্মসাৎ” নিয়ে সংবাদ পরিবেশন হয়। ওই সংবাদে আওয়ামীলীগ নেতা আসলাম খানের নাম উঠে আসে চাউল আত্মসাতের ঘটনার সহযোগি হিসেবে । এই নিউজের জের ধরে সাংবাদিক আবু হামজা বাঁধনকে মামলার এজহারভুক্ত আসামী সাদমান খান সুপ্ত, শোনন মেহেবুব সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের একদল যুবক পথ গতিরোধ করে গালিগালাজ সহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে তারা আবু হামজা বাঁধনের নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক আবু হামজা বাঁধন খানজাহান আলী থানায় বাদি হয়ে একটি চাঁদাবাজি আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে র্যাব-৬ এর গোয়েন্দারা আসামীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করেন । শুক্রবার বিকালে এজাহার নামীয় দুই আসামীকে র্যাব আটক করতে সক্ষম হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবু হামজা বাঁধন বলেন, আমার ও আমার পরিবার বর্তমান জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, এজাহারভুক্ত আসামীরা আটক হলেও এদের সহযোগিদের দ্রুত আটক করতে হবে। এ বিষয় খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) নাহিদ হাসান মৃধা বলেন,আসামীদের র্যাব ৬ আটক করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার অনুভূতি কী?