তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে অনুপস্থিত বেতীখোলা দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবু তালেব।
(কেশবপুর) যশোর প্রতিনিধি:- কেশবপুরের বেতীখোলা দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবু তালেব দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত। গত ৫ আগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৮ দিন ধরে অনুপস্থিত কেশবপুরের বেতীখোলা দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবু তালেব । এতে মাদ্রাসার কার্যক্রম পলিচালনা করতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্য শিক্ষকরা। স্থানীয়রা জানান, সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার ও উপজেলা আওয়ামীলিগের সভাপতি মাষ্টার এস এম রুহল এর ছত্র ছায়ায় নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানে নানান দুর্নীতির করেন তিনি। আওয়ামীলিগ সরকারের ছত্র-ছায়ায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এসব নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির বিষয়ে কেউ কথা বলতে গেলে তাকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায় তিনি এলাকাবাসীর নামে বিভিন্ন হয়রানি মূলক অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। গত ২৩ আগস্ট এলাকাবাসী ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ এক মানববন্ধন করেন মানববন্ধনের পর থেকে তিনি বিভিন্ন ধরনের এলাকাবাসীর নামে হয়রানি মূলক অভিযোগ করেছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানে না এসে প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙ্গিয়ে আজ এ অফিসে কাল সে অফিসে এসব বলছেন। মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রেজাউল করিম বলেন আমি কমিটিতে থাকাকালীন অনেক নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে কিন্তু আমি কোন কথাই বলতে পারেনি তখন কারন আমি ভিন্ন রাজনীতি করতাম তখন আমি যেই একটু তার বিরোধিতা করতাম সেই আওয়ামী লীগ সরকারের লোক পাঠিয়ে আমাকে হুমকি ধামকি বিভিন্ন হয়রানি করতো এমনকি হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ারও কথা বলেছে গত ৫ই আগস্ট আমাদের ছাত্ররা আমাদের সে অধিকার ফিরিয়ে এনেছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এসব ছাত্রদের উপর যারা আমাদেরকে কথা বলার এই সাহস টুকু এনে দিয়েছে। গত ২৩ আগষ্ট মানববন্ধনের পর থেকে প্রায় ১৫ দিন পর অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়ে পাঠায় নি মাদ্রাসাতে বর্তমানে সুপারের বেতন বন্ধ আছে। তিনি ডিজির স্বাক্ষর জাল করে সহ-সুপার নিয়ম বাণিজ্য করার সময় ডিজির কাছে ধরা পড়ে। এতে করে মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে তাকে সাসপেন্ডে রাখা হয় এবং বেতন বন্ধ রাখা হয়। গত ১ তারিখ বেতন যেকোন ভাবে ছাড়িয়ে এনেছে সে কিন্তু আমাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন তুমি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন। সুপার সাহেব সহ প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মচারীদের বেতন বন্ধ থাকে গত মঙ্গলবার ১৮ সেপ্টেম্বর সকল শিক্ষক শিক্ষিকা কর্মচারীদের বেতন ছেড়ে দিলেও মাদ্রাসার সুপার এর বেতন এখনো পর্যন্ত ছাড়েনি। এমতাঅবস্থায় অভিভাবকদের বক্তব্য শুনতে গেলে হান্নান এবং হুমায়ুন কবির সহ সকল অভিভাবকগণ বলেন। এই দুর্নীতিবাজ সুপার যে মাদ্রাসায় আসেনা ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নেয় না আমরা এমন সুপারের তত্ত্বাবধানে আমাদের ছেলে-মেয়ে পড়াতে চায় না। এছাড়া তিনি, ম্যারেজ রেজিস্টার হিসেবে কাজ করে আসছেন তিনি। এ কারণে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়েছিলেন আবু তালেব। এছাড়াও পৌর, উপজেলা কিংবা ইউনিয়ন পর্যায়ের বেশি টাকা নিয়ে বাল্যবিবাহ পড়ানোর মত ঘটনাও তিনি ঘটিয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন, তার বিরুদ্ধে এসব নানা অভিযোগ থাকায় গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ভয়ে আর মাদ্রাসাতে আসছেন না তিনি। বেতীখোলা দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সাবেক কম্পিউটার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন আমি নারায়ণপুর হাই স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাই তখন সুপার সাহেবকে বিষয়টি জানালে তিনি আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন প্রত্যায়নের জন্য এবং আমার কাগজ পত্র জমা দেওয়া ছিল সেগুলো নেওয়ার জন্য। তিনি একবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার রুহুল আমিনের কাছে পাঠায়। একবার পাঠাই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মশিয়ার রহমানের কাছে। নানান তাল বাহনা শুরু করেন শেষমেষ আমার কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমাকে ছাড়পত্র দেন অত্র প্রতিষ্ঠানের সুপার আবু তালেব। তিনি আরো বলেন প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক সদস্য ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রেজাউল করিম ও আব্দুল মান্নানের কছে ২০ হাজার টাকা দেয় কাগজপত্র ছাড়াই দেওয়ার জন্য এ কথা স্বীকার করে রেজাউল করিম। কিন্তু আমরা সাবেক সভাপতির সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তার মোবাইল বন্ধ পাই এবং তার বাড়ি যেও তাকে পাইনি কারণ তিনি লাপাত্তা তিনিও ছিলেন আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী দলীয়ভাবে তাকে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করা হয় এ কারণেই তিনি এখন লাপাত্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, আমরা সুপার সাহেবের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তিনি নাকি মেডিকেল ছুটি নিয়েছেন। সুপার সাহেব মাদ্রাসায় কোন ধরনের দরখাস্ত পাঠায়নি যে সে ছুটিতে আছেন এতে আমাদের পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এলাকাবাসী ও অভিভাবক বিন্দরা মিলে সুপারের নানান দুর্নীতির প্রমান সহকারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর, থানা বরাবর, দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও কেশবপুর ছাত্র সমন্বয়ক দের কাছে এসব অভিযোগ জমা দেন । এখনো পর্যন্ত এর কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি এলাকাবাসীর ভিতর আফজাল হোসেন বলেন প্রতিষ্ঠান প্রধান যদি প্রতিষ্ঠানে না থাকে তাহলে সে প্রতিষ্ঠান কিভাবে চলবে আমরা অভিযোগ দিয়েছি অভিযোগটা যদি সঠিক হয় তদন্ত করে দেখা উচিত ছিল এখনো পর্যন্ত আমরা এটার কোন ফলাফল পাইনি আমরা এটার দ্রুত একটা প্রতিকার চাই। অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক এক কর্মচারী বলেন আমি মাদ্রাসাতে জমি দান করেছি কিন্তু আমাকে আট বছর আগে থেকেই চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয় জালজালিয়াতির মাধ্যমে। এখনো পর্যন্ত আমার একটি জমি নিয়ে ঝামেলা আছে মাদ্রাসার সাথে। এই ঝামেলার কারণে মাদ্রাসাতে ১ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকার একটি বিল্ডিং হাতছাড়া হয়ে যায় এটার দোষ সম্পূর্ণ সুপার সাহেবের। বিল্ডিং আসার সময় জমিজমা সংক্রান্ত যত ঝামেলা ছিল এটা নিয়ে আমরা এবং মাদ্রাসার পক্ষ নিয়ে সুপার সাহেব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় যায় সেখ
আপনার অনুভূতি কী?