বাথরুমে আটকা পড়ে অচেতন ছাত্রী, দায় এড়াতে চেষ্টায় প্রধান শিক্ষক!।

, মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি:—যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বালিয়াডাংগা খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী বাথরুমে আটকে পড়ে দুই ঘণ্টা পর অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি ৯ এপ্রিল (বুধবার) ঘটলেও প্রধান শিক্ষক শিশির মন্ডল বিষয়টিকে ‘সামান্য’ বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ভিকটিম নওশীন, স্থানীয় বাসিন্দা বিল্লাল হোসেনের কন্যা। অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রথম পিরিয়ড শেষে সহপাঠীদের সঙ্গে বাথরুমে গিয়েছিল সে। পরে সবাই ফিরে এলেও নওশীন শ্রেণিকক্ষে না ফেরায় তা কেউ লক্ষ্য করেননি। দুপুরে বিদ্যালয়ের পাশের ধানক্ষেতে কাজ করা কৃষকরা বাথরুম থেকে মেয়েটির চিৎকার শুনে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নওশীনের ভাষ্যমতে, বাইরে থেকে দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে দেওয়ার কারণে সে আটকা পড়ে। চিৎকার করেও যখন কেউ আসে না, তখন সে ভেন্টিলেটর দিয়ে বের হতে গিয়ে পড়ে যায় ও আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক শিশির মন্ডল উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, আটজন শিক্ষকের মধ্যে সাতজনই উপস্থিত থাকলেও প্রধান শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকা অনুপস্থিত। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জরুরি মিটিং ডাকেন, যেখানে অভিভাবক, শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মুত্তালিব জানান, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে, প্রধান শিক্ষক শিশির মন্ডল ঘটনাটিকে ‘সামান্য’ বলে দাবি করেন এবং বলেন, “কয়েক মিনিট হয়তো আটকা ছিল, বড় কিছু নয়।” ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার অনুরোধ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং সাংবাদিকদের দারস্থ হয়েছেন। যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আসরাফুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Apr 10, 2025 - 11:49
 0  12
বাথরুমে আটকা পড়ে অচেতন ছাত্রী, দায় এড়াতে চেষ্টায় প্রধান শিক্ষক!।

আপনার অনুভূতি কী?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow