বাসের সিট ধরা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মধ্যরাতে ইবিতে দফায় দফায় মারামারি:

মো: মনিরুল ইসলাম ইবি প্রতিনিধি।।।কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাসের সিট ধরাকে কেন্দ্র করে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে প্রক্টর, এক শিক্ষক ও এক কর্মকর্তা আহত হন। এই নেক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবিতে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১ টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একইস্থানে এসে শেষ হয়। সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, সমস্যা সমাধান করার পরও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের শিক্ষকদের উপর হামলা করা হয়েছে। এসময় এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বহিষ্কারের দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।  শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুষ্টিয়া শহর থেকে ক্যাম্পাসে ছেড়ে আসা একটি ডাবল ডেকার বাসে আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের তিন শিক্ষার্থী তাদের বন্ধুদের জন্য ‘জ্যাকেট’ দিয়ে দুইটি সিট ধরে রাখেন। পরে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সুমন অভ্র বাসে উঠে তাদের ধরা সিটে বসেন বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে বিষয়টি নিয়ে সুমনের সঙ্গে আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তখন আল-ফিকহের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সিহাব ও রাকিব কথা বলতে গেলে সুমন রাকিবের শার্টের কলার ধরে। এতে তাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং সুমনের মুখে আঘাত লাগে।  সুমনের দাবি, সিটে বসা নিয়ে হাসান ভাইকে মারতে উদ্যত হলে তখন তাদের নিবৃত্ত করতে যায় সুমন। তখন রাকিব তার শার্টের কলার ধরে ঘুষি মারে ও শার্ট ছিড়ে দেয়। তবে রাকিব বলছে, সুমন আগে আমার শার্টের কলার ধরেছিলো। পরে তাকে ধাক্কা দিয়েছি। শার্ট ছেড়ার মতো কোনকিছু হয়নি। সে হয়তো আমাকে ফাঁসানোর জন্য নিজেই নিজের শার্ট ছিড়েছে। এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাস ক্যাম্পাসে পৌঁছালে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাও উপস্থিত হন। সুমন বিষয়টি আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জানালে তারা এসে প্রধান ফটকে গাড়ি আটকায়। পরে আল-ফিকহ বিভাগের শিক্ষার্থীরাও সেখানে উপস্থিত হয়। এসময় দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সমাধানে রাত ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও উভয়পক্ষকের শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনায় বসে সমঝোতা করে দেয়া হয়। এরপর চলে যাওয়ার সময় আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আল-ফিকহ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী’ বললে অনুষদ ভবনের সামনে উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীরা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের থামাতে গিয়ে মারধরেরও শিকার হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। তাদের  প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে

ফেব্রুয়ারি 2, 2025 - 23:29
 0  0
বাসের সিট ধরা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মধ্যরাতে ইবিতে দফায় দফায় মারামারি:

আপনার অনুভূতি কী?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow