বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন হল পবিত্র ঈদে-মিলাদুননবী।
নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর, নারায়ে রিসালাত-ইয়া রাসুলুল্লাহ, এমন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত খুলনা রাজধানী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে নানা শোভাযাত্রার। হিজরি ১২ রবিউল আউয়াল আজ (১৬ই সেপ্টেম্বর )। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এদিনে মানবজাতির জন্য রহমত হিসেবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র মক্কা নগরীতে জন্ম নিয়েছিলেন। তিনি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শের শিক্ষাদাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে তার সুন্দরতম আদর্শের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি-সৌহার্দ, সাম্য-মানবতা প্রতিষ্ঠা করেন। দিনটি উপলক্ষে খুলনা নগরীতে সারাদিন ব্যাপি বিভিন্ন শোভাযাত্রা, দোয়া-মাহফিল ও তবারক বিতরণের আয়োজন করা হয়। গত ১৬ই সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় গাউছিয়া কমিটির আয়োজনে খুলনা ময়লাপোতা মোড় থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাটি ময়লাপোতা মোড় হতে খুলনার বিভিন্ন জায়গা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ময়লাপোতা মোড়ে এসে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে সমাপ্ত করা হয়। অন্যদিকে দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর আয়োজনে খালিশপুর ওন্ডারলেন্ড পাকের সামনে হতে একটি জাসনে জুলুস বের করা হয় যা খুলনা নগরীর বিভিন্ন স্হানে প্রদক্ষিণ করে। অপর দিকে খালিশপুর নগরীতে বাজমে হুসাইন কমিটির আয়োজনে ও র্যালি বের করা হয়।যা খালিশপুর নগরীর বিভিন্ন জায়গা প্রদক্ষিণ করে। বিকেল ৫টায় ফুলবাড়ি গেট সংলগ্ন কুয়েটে সামনে থেকে আঞ্জুমান গরিবে নেওয়াজ চাঁদপুরিশাহ কমিটির আয়োজনে ও একটি জাসনে জুলুস বের করা হয়। যা কুয়েটের সামনে থেকে অতিক্রম করে মিরেরডাঙ্গা পেটলোর পাম্প প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কুয়েট এর সামনে অবস্থান করে এবং জিকির, তেলাওয়াত এবং দোয়া এর মাধ্যমে র্যালিটি সমাপ্ত করা হয়। এদিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশে সরকারিভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালিত হচ্ছে। রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে ১১ হিজরির ঠিক এদিনেই তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)। দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
আপনার অনুভূতি কী?