ভবদহের ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশনে অন্তরায় টেকা নদীর কাঠের সেতু,অবৈধ দখল,নেট পাটা
যশোরের অভয়নগর- মণিরামপুর সীমান্তবর্তী টেকা নদী। এ নদীর বুকে শ’শ’ অবৈধ ঘের আর নেট পাটা নদীর প্রবাহকে আটকে দিয়েছে। ভবদহের ২৭ বিলের পানি এ নদী দিয়ে বের হওয়ার পথও বন্ধ হয়েছে এ কারণেই। সব প্রতিবন্ধক ও দখল উচ্ছেদে প্রশাসনিক পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। ভবদহের পানি নিষ্কাশনে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অবৈধ দখলদারদের নানবিধ কারসাজি। এ ছাড়া প্রায় ৩ শ’ফুট প্রস্থের নদীটির উভয় তীরে ২ শ’ ৭০ ফুট মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। কাঠের সেতুটি নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। পূর্বের পুরাতন বিশাল আকৃতির পাকা ব্রিজ ভেঙ্গে নতুন ব্রিজ করার সময় ঠিকাদার যানবাহন ও পথচারী পারাপারের জন্য কাঠের সেতুটি অস্থায়ী ভিত্তিতে নির্মাণ করেন। টেকা নদী একদিকে মাটির রাস্তার কারণে পানি প্রবাহ বাঁধা গ্রস্ত করছে। অন্যদিকে ৩০ ফুটের কাঠের সেতু জুড়ে শেওলা আর কাঠের বড় বড় গুড়ি পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এ কারণে ভবদহের ২৭ বিলের পানি টেকা নদী দিয়ে বের হতে না পেরে অভয়নগরের ২৫ টি গ্রামের মানুষকে পানিববন্দি কেের রেখেছে। রাস্তাঘাট,বাড়ীঘরে পানি উঠে গেছে,ফসলী জমি আর মাছের ঘের এখন পানির নিচে। উল্লেখ্য, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আমিরুল হক, যশোর জেলা প্রশাসক মো: আজাহারুল ইসলাম গত ১০ অক্টোবর এলাকাটি পরিদর্শন করেন এবং পানি প্রবাহে বিঘœসৃষ্টিকারী প্রতিবন্ধকতা দূর করার নির্দেশ দেন। কিন্তু সে ব্যাপােের প্রশাসনিক বা দাপ্তরিক কোন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম জানান, নদীর উপর নির্মিত কাঠের সেতু,অবৈধ নেট পাটা না সরালে বিলের পানি নিষ্কাশন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। নদীর বুকে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেললে এবং নদী পুন খনন করলে এ পানি দ্রæত নিষ্কাশন সম্ভব। এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেছেন, পানির অবাধ প্রবাহ ঠিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অচিরেই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুসহ সকল নেট পাটা অপসারণের দাবি জানিয়েছেন এলাকার বিশেষজ্ঞ মহল।
আপনার অনুভূতি কী?