মণিরামপুরে ফসলি জমি কেটে মাটি-বালুর মহোৎসব, আইনের তোয়াক্কা নেই কারো!
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি —যশোরের মণিরামপুরে একের পর এক ইউনিয়নে ফসলি জমি কেটে প্রকাশ্যে মাটি ও বালু উত্তোলন চলছে, যেন চলছে 'মহোৎসব'! আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিংবা স্থানীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে পরিবেশ ও কৃষিজমির ভারসাম্য ধ্বংস করছে এক সিন্ডিকেট। মণিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের এক অনুসন্ধানী টিমের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে গড়ে ৪-৫টি পয়েন্ট থেকে নিয়মিতভাবে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের বলুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী এসব কার্যক্রম সম্পূর্ণ অবৈধ হলেও, স্থানীয় প্রভাবশালী ও কিছু ভাটা মালিকের ছত্রছায়ায় দাপটের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মাটি ব্যবসায়ীরা। ভূগর্ভস্থ মাটি ও বালু উত্তোলনের কারণে ফসলি জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে, রাস্তা নষ্ট হচ্ছে, শিশুদের চলাফেরায় তৈরি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা। বিশেষ করে রহিতা, চালুয়াহাটি, শ্যামকুড়, ভোজগাতী, ঢাকুরিয়া ও খানপুর ইউনিয়নে এ সমস্যা প্রকট। মাটি পরিবহণকারী ট্রাক ও ট্রলির চাপে গ্রামীণ রাস্তার টেম্পার ভেঙে যাচ্ছে। পথে প্রলেপ পড়া মাটির কারণে বর্ষাকালে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সাধারণ যাত্রীরা। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ মাহমুদা আক্তার জানিয়েছেন, জমির উপরের স্তরের উর্বর মাটি কেটে নেওয়ার ফলে কৃষক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি সার্বিক কৃষি উৎপাদনেও দেখা দিচ্ছে হুমকি। প্রশাসনিকভাবে এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়ায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে—“উপজেলা প্রশাসন কি তবে নীরব সম্মতি দিচ্ছে এই ভূমি বিধ্বংসী কর্মযজ্ঞে?” অবিলম্বে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে কার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।

আপনার অনুভূতি কী?






