মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষকদের ;পূর্ণাঙ্গ উৎসব বোনাস ও বাড়ি ভাড়ার দাবি
শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের জন্য পূর্ণাঙ্গ উৎসব বোনাস ও সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনে আয়োজিত এক সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়। সভা থেকে আগামী ৮-১৭ অক্টোবরের মধ্যে জেলা প্রশাসক কিংবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সভায় সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বেতনভাতা বৈষম্যের শিকার। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বাড়িভাড়া পাচ্ছেন কেবল ১ হাজার টাকা, উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা। যা নিতান্তই পরিহাসের। এ ধরনের অপনীতি শিক্ষকবিরোধীই নই, শিক্ষাবিরোধীও বটে। প্রতিবছর বাজেট উপস্থাপন দেখলে এ দেশকে গরিব বলার কোনো কারণ নেই। কিন্তু শিক্ষকদের বেতনভাতা বাংলাদেশে সবচেয়ে কম। অথচ শিক্ষকদের বলা হয় জাতি গড়ার কারিগর। এটা মুখরোচক বুলি ছাড়া আর কিছুই না। দুঃখজনক হলেও বলতে হয় ৯৬ হাজার শূন্যপদের বিপরীতে কেবল আবেদনকারী ২৪ হাজার। এত বেকারত্বের মধ্যেও শিক্ষিত বেকাররা শিক্ষকতা পেশায় আসতে চাইছেন না। তার কারণ বেতন বৈষম্য, সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তার অভাব।তিনি বলেন, বিগত সরকারগুলো এসব সমস্যা-সমাধানে আন্তরিক ছিল না। আমরা মনে করি অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে শিক্ষকদের জীবন-জীবিকা, মর্যাদার বিষয়ে গুরুত্ব দেবেন এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের লক্ষ্যে বেতন-ভাতা বৈষম্য দূর করে শিক্ষাব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করে একটি টেকসই জাতি গড়ে তুলবেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লব বলেন, শিক্ষকরা এখনো নাজেহাল হচ্ছেন, বিশেষ করে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা, যা খুবই হতাশাজনক। এটা এখনই বন্ধ করতে হবে। সাধারণ শিক্ষকরা যুগ যুগ ধরে নির্যাতন হওয়ার ধারাবাহিকতাও এ নির্যাতনের একটা মাত্রা। এ নির্যাতন শুরু হয়ে আসছে প্রতিষ্ঠান প্রধান থেকে ম্যানেজিং কমিটি পর্যন্ত। ফলে ম্যানেজিং কমিটির অরাজকতা মেনে নেওয়া যাবে না, এ প্রথা বাতিল করতে হবে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইয়াছিন, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি অমৃত কারণ, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আমির হোসেন, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক আসমান আলী প্রমুখ।
আপনার অনুভূতি কী?