যশোরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ শানে রেসালত সম্মেলন অনুষ্ঠিত

যশোর অফিস যশোরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ শানে রেসালত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত যশোর শহরস্থ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা আনোয়ারুল করিম যশোরীর সভাপতিত্বে শানে রেসালাত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আল্লামা সাজিদুর রহমান। এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, 'তিনি বলেন, প্রধান বক্তা বক্তব্যে বলেন, ২০১৩ সালে ৫ ই মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার যে নির্মমভাবে গনহত্যা নির্যাতন করেছে তার নিন্দা জানান। ২০২১ সালে হাটহাজারী থেকে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার পর্যন্ত অসংখ্য হেফাজতে ইসলামের নেতা কর্মীদের হত্যা করে। আওয়ামী লীগ ইসলাম বিদ্বেষী কুরআন বিদ্বেষী দল ।এরা পাখির মত গুলি করে গণহত্যা করেছে,সন্ত্রাসীর রাজনীতি করেছে এদের বাংলার জমিনে রাজনীতি করার অধিকার নাই ।আগামীতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন ইসলামকে মেনে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। যেদিন শাপলা চত্বরে হেফাজতের মহাসমাবেশের উলামা কেরামদের নির্যাতন করে সে দিন থেকে হাসিনা সরকারের পতন শুরু হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম অনেক রক্তের বিনিময়ে টিকে আছে। হেফাজতে ইসলাম অনেক রক্ত দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। সাম্রাজ্যবাদের প্রতিটি দেশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন সেন্ট মার্টিন থেকে দেশের কোন অংশ কেউ ক্ষতি করে চাইলে হেফাজতে ইসলাম তাকে ছেড়ে দেবে না। হেফাজতে ইসলামের মুল উদ্দেশ্য হলো ইসলামের উপর আঘাত আসলে তা প্রতিরোধ করা। যখন ইসলামের উপর আঘাত আসবে তা প্রতিহত করতে হবে। ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকারের শাসন আমলে ইসলাম ওলামায়ে কেরাম সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। গত ১৫ বছর যাবত আমাদের মসজিদ, মাদ্রাসা ওলামায়ে কেরামগণ কেউ নিরাপদ ছিল না সেই নিরাপদ হীনতা ভেঙে আমরা উত্তীর্ণ হতে পারেছি। ছাত্র-জনতাকে আহ্বান করে বলেন অনেক কষ্টে অর্জিত এই স্বাধীনতা কেউ যেন ছিনিয়ে নিতে না পারে। স্বৈরাচারী সরকারের দোসরা এখনো দেশের মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনা সহকিছু লোক বিদেশে গিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামকে হেফাজত করতে হবে। আমাদের দেশকে, দুর্নীতি মুক্ত, ঘুষ মুক্ত করতে হবে। যেখানে ইসলামের অবমাননা করা হবে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যে রাজনৈতিক দল ইসলামকে হেফাজত করবে আমরা তাদের সমর্থন করবো। প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নাস্তিক্তবাদী। এই শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। ওলামায়ে একরামের পরামর্শ নিতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন করতে হবে। প্রধান বক্তা বক্তব্যে বলেন আমরা অনেক বিষয়ে ছাড় দিতে পারি কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলাম বিরোধী কোন কার্যকলাপ সয্য করা হবেনা।আমাদের সন্তানদের নাস্তিক্যবাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। আমরা ক্ষমতার জন্য সংগ্রাম করিনা। আমরা ইসলামের জন্য সংগ্রাম করি। হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আর কোন ব্যক্তি বা দল ইসলাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হেফাজতে ইসলামকে দেশের স্বাধীনতা ও ইসলামের দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।' বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী ও মাওলানা মুশতাক আহমেদ, এছাড়া উপস্থিত মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন, মাওলানা আব্দুল হামিদ, মাওলানা হামিদুল, মাওলানা বিন মুহসীন তাজাল্লা, মাওলানা মুফতি রশিদ আহমেদ,মুফতি শামসুর রহমান, মুফতি হাফিজুর রহমান, মাওলানা নাসির উদ্দিন সেক্রেটারি, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, হাফেজ আব্দুল্লাহ, মাওলানা আব্দুস সামাদ প্রমুখ। এছাড়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যশোর জেলা শাখার নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অক্টোবর 23, 2024 - 10:13
 0  6
যশোরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ শানে রেসালত সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আপনার অনুভূতি কী?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow