স্বেচ্ছায় আমডাঙ্গা খালের পলি অপসারণ,উদ্বেগ প্রকাশ ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির
র্স্টাফ রিপোটারঃ শুক্রবার সকাল থেকে ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুনরুদ্ধার অভিযান চালিয়েছে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তারই ধারা বাহিকতায় আমডাঙ্গা খালে স্বেচ্ছায় খালের ভিতর জমা পলি অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। প্রায় ২০০ শত সেচ্ছাসেবক পলি অপসারণে অংশ গ্রহণ করেন। এ সময় অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ শামীম হোসাইন সহকারী কমিশনার (ভুমি) অভয়নগর উপজেলা, জনগন সাথে অভিযানে অংশগ্রহন করেন।এ সময় খালে নেমে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতা শিব প্রসাদ বলেন, আমডাঙ্গা সুইচ গেটের নিচে প্রায় ৬ ফিট পলি জমছে,ফলে তলদেশ উচু হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ আছে। সুইচ গেটের গেট অপারেটর রাজু বলেন, পাড়ের ব্লক ভেঙ্গে তা খালের ভিতর পড়েছে। ফলে গেট খোলা হলেও সঠিকভাবে পানি বের হচ্ছে না।দ্রুত ব্লাগ উঠানোর ব্যবস্থা করতে পারলে পানির গতি বাড়বে। সরেজমিনে দেখা যায়, খালের ভিতর পাড় ভেঙ্গে পড়ে আছে।খালের ভিতর প্রচুর পরিমাণে গাছ পালা পড়ে আছে,তৈরি হচ্ছে পানিতে বাঁধা। স্থানীয়দের অভিযোগ, খাল কাটার পরে তা দেখ ভাল না করার কারণে পাড় ভেঙ্গে আমাদের বাড়ি ঘর হুমকির মুখে। ভবদহ পানি নিষ্কাশণ সংগ্রাম কমিটির নেতারা বলেন, নদীর পানি জলাবদ্ধ এলাকা থেকে প্রায় ৪ ফিট নিচু,খালটি একটু সংষ্কার করতে পারলেই অনেকটাই জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হবে। যত দ্রুত সম্ভব যাত্রিক ম্যাশিন ব্যবহার করে পলি অপসারণের মাধ্যমে নদীর গভিরতা বাড়িয়ে জলবদ্ধতা দূর করতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম আবু নওশাদ বলেন আমরা চেষ্টা করছি যতদ্রুত সম্ভব খাল সংষ্কারের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূরীকরন।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক রণজিত বাওয়ালী।তিনি জানান গেটের কপাটের নিচে কে বা কারা সিমেন্ট মিশ্রিত বালুর বস্তা ফেলে রাখছে যে কারণে গেট বন্দ করলেও জোয়ারের সময় ভিতরে পানি প্রবেশ করছে,কিছু আসাধু ঘের মালিক সু কৌশলে পূর্বে ঘেরে পানি বাড়ানোর জন্য এ অপচেষ্টা চালিয়েছে যে কারণে পানি না সরায় দ্রুত পানি বৃদ্ধি পেয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। আইন বিষয়ক সম্পাদক অনিল বিশ্বাস জানান, গেটের নিচ থেকে বড় বড় পাথর অপসারণ করা হচ্ছে তবে পানির নিচে খালি হাতে এ পাথর বোঝায় বস্তা সরানো সম্ভব হচ্ছে না।প্রয়োজন মাটি খনন যন্ত্রের। বাস্তা অপসারণ ও পলি কেটে দিলে পানির শ্রোত অনেক বাড়বে,ফলে দ্রুত বাড়ির পানি নেমে আসবে। এ সময় ইউপি মেম্বর সহ এলাকার অনেক মৎস্য ঘের ব্যাবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
আপনার অনুভূতি কী?