সড়ক ১২০ ফুট, গাড়ি চলে মাত্র ২৪ ফুটের মধ্যে
আড়াই কিলোমিটার সড়কের একপাশজুড়ে দখলের মহোৎসব, আরেক অংশে এলোপাতাড়ি সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড। ফলে যানজটের ভয়াবহতা স্পট হয়ে উঠেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ মোড়ে। বসিলা সড়ক দখলদারি আর চরম ট্রাফিক অব্যবস্থাপনায় মানুষের নাভিশ্বাস নিয়ে যেনো ভাবার কেউ নেই। কেরানীগঞ্জ থেকে রাজধানীতে প্রবেশের অন্যতম পথ বসিলা সড়ক। বসিলা সেতু থেকে মোহাম্মপুর বেড়িবাঁধ মোড় পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কটি ১২০ ফুট প্রশস্ত হলেও মাত্র ২৪ ফুট পাকা রাস্তায় চলতে পারে গাড়ি। কারণ রাস্তার প্রায় অর্ধেকটা দখল করে কয়েক বছর ধরে চলছে নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা। নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসায়ী জানান, আগের সরকারের আমলে তাদের থেকে টাকা নেয়া হতো বা ভাড়া নেয়া হতো। প্রতি মাসে কখনও ৫ হাজার অথবা ৬ হাজার করে টাকা নিতো। এখন আর কেউ টাকা নেয় না। রাস্তার অর্ধেক অংশ চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় দিনরাত গাড়ির তীব্র জটলা তৈরি হয় মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়ে। আর সরকার পরিবর্তনের পর ঢিলেঢালা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সুযোগে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডটিও বিস্তৃত হয়েছে আরও। সড়কটিতে এতটাই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যে, কারো কথা যেন কেউ শোনে না। যানজট সামাল দিতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা কাজ করছেন। তারা জানান, এখানে কেউ কারও কথা শুনে না। যে যেখানে পারছে গাড়ি পার্কিং করে রাখছে। স্টুডেন্ট কমিউনিটির সদস্যরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশের সদস্য বলেন, আমাদের এখানে জনবল কম। তবে শৃঙ্খলা আনতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। বছর দুয়েক আগে এই সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কিন্তু সংস্কার না করায় তা পরিণত হয়েছে ভাগাড়ে। এ নিয়ে সড়ক বিভাগের কেউ কথা বলতে রাজি না হলেও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, পুলিশ গুছিয়ে নিচ্ছে। তাই পুলিশ সব সময় পাওয়া যায় না। খুব শিগগিরই পুলিশ এভেলেবেল হয়ে যাবে। যদি তা না হয় তাহলে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে মোবাইল কোর্টের একশনে যাবো। তখন ফুটপাত দখলসহ যেসব ঝামেলা আছে সেগুলো থাকবে না।সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, বসিলা সড়কে উন্নয়নের পরিকল্পনা আছে তাদের। তবে ঠিক হয়নি দিন তারিখ। এ অবস্থায় রোজ যানজটের নাভিশ্বাস থেকে মুক্তি পেতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদারের অনুরোধ এ পথের যাত্রীদের।
আপনার অনুভূতি কী?