অ্যান্টিগায় আগেভাগেই শেষ প্রথম দিনের খেলা, টাইগারদের প্রাপ্তি ৫ উইকেট
হঠাৎ বেরসিক ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির বাগড়া আর আলোক স্বল্পতার কারণে ৩৬ বল বাকি থাকতেই অ্যান্টিগায় প্রথম দিনের খেলার সমাপ্তি টানলেন মাঠের দুই আম্পায়ার। আর তাতেই হাতে ৫ উইকেটের প্রাপ্তি নিয়ে দিন শেষ করলো টাইগাররা। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করে স্বস্তিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিন টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার। ম্যাচের ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে উইন্ডিজ ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে প্যাভিলিয়নে ফেরান তাসকিন। এক ওভার বাদে আবার বোলিংয়ে ফিরে আউট করে দেন ওয়ান ডাউনে নামা ক্যাসি কার্টিকে। ১৬তম ওভারের পঞ্চম বলে তাসকিনের মাপা ল্যাংথের বলটাকে ফ্লিক করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন মিড অনে, যেটা লুফে নেন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা তাইজুল। ৮ বল খেলে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। ফলে ২৫ রানে স্থির থেকেই দুই উইকেটের পতন ঘটে স্বাগতিকদের। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে প্রবেশ করেন কাভেম হজ। এরপর আর কোনো উইকেট না হারিয়েই প্রথম সেশন শেষ করে উইন্ডিজ। ২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি। ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার। লুইস যেতেই তার ভূত পেয়ে বসে অ্যাথানেজকেও। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে গ্রিভসের প্রবেশের পর আরও ১০ বল খেলেন, কিন্তু রান করেন মোটে ১টি। ৭৮তম ওভারের চতুর্থ বলে তাকে নিজের শিকার বানান তাইজুল। উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ৯০ রান নিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন অ্যাথানেজও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আগমন ঘটে জশুয়া দা সিলভার। কিন্তু এরপর আর কোনো বিপদের সম্মুখীন হতে হয়নি স্বাগতিকদের। শেষ মূহুর্তের ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আর আলোক স্বল্পতার কারণে ৮৪তম ওভার শেষে প্রথম দিনের ইতি টানেন দুই আম্পায়ার।
আপনার অনুভূতি কী?