ঈদগাঁওতে ওপেন হাউজ ডে- তে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা
মোঃ রেজাউল করিম, কক্সবাজার। বাংলাদেশ পুলিশের ঈদগাঁও থানার উদ্যোগে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে থানার সভাকক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অফিসার ইনচার্জ মোঃ মছিউর রহমান। সূচনা বক্তব্য রাখেন ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা দেলোয়ার হোছাইন। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এম, মমতাজুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর ঈদগাঁও থানার আমীর মাওলানা ছলিম উল্লাহ জিহাদী, জালালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর তাজ (জনি),, ইসলামপুর বিএনপির সভাপতি মাস্টার আব্দুল কাদের, ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাকিম, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, পোকখালি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ আজম খাঁন। অন্যদের মধ্যে মতামত পেশ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি প্রতিনিধি তারেকুর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট শেখ আহমদ ফারুকী, ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা এনামুল হক ইসলামাবাদী, ছাত্র প্রতিনিধি হাবিব আজাদ, যুব অধিকার পরিষদ প্রতিনিধি মনছুর আলম, এডভোকেট মোবারক সাঈদ, ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ মাহাথির আনাস। আলোচনায় অংশ নেন মহিলা দলের উপজেলা আহবায়ক খুরশিদা বেগম, মেম্বার কামাল উদ্দিন, মেম্বার ফারজানা আক্তার, মেম্বার তসলিমা আক্তার প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের যুগ্ন আহবায়ক সেলিনা আকতার , এমইউপি রাবেয়া খানম, মহিলা দলনেত্রী কোহিনুর আক্তার, শামীমা আক্তারসহ আমন্ত্রিতরা। বক্তারা থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এতে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, মাদক রোধসহ সার্বিক আইন- শৃঙ্খলার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ মতামত পেশ করা হয়। সমাপনী বক্তব্যে থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, হাইজ্যাক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পুলিশ যুদ্ধ ঘোষণা করছে। তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এলাকাবাসীকে সুখে ও শান্তিতে রাখতে পুলিশ প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করবে। তিনি অপরাধ নির্মূলে জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। বলেন, তার ৮ মাস দায়িত্ব পালনকালে থানায় এলাকার কোথাও ধর্ষণ ও গরু চুরির ঘটনা ঘটে নি। এতে বিভিন্ন বক্তারা অভিযোগ করেন যে, পতিত স্বৈরাচার সরকারের নেতাকর্মী ও সুবিধাভোগীরা এলাকায় এখনো বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে। পুলিশ প্রশাসন তাদের রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার করছে না। যার ফলে জুলাই- আগস্টের অভ্যুত্থানের যে চেতনা তা ভূলুণ্ঠিত হতে চলেছে।

আপনার অনুভূতি কী?






