মণিরামপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার সংবাদ সম্মেলন

মণিরামপুর(যশোর)প্রতিনিধি— যশোরের মণিরামপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে অংশগ্রহণকারী ছাত্রজনতারা নিজেদের উপর নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও স্বৈরাচার সরকার আখ্যায়িত আওয়ামী লীগের অংঙ্গসংগঠন যুবলীগের ক্যাডার বাহিনী কতৃক জীবননাশের হুমকি ধামকিসহ সোস্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট নিয়ে মণিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এসময়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ১৩নং খানপুর ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ নাছিমুল বারী সাইমুন। সংবাদ সম্মেলনে সাইমুনের সহিত আরও উপস্থিত ছিলেন লিটন হাসান, রিয়াদ হোসেন, জিহাদুল ইসলাম জিত, আজিজুর রহমান, নাহিদ হাসান সহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রজনতারা। লিখিত বক্তব্যে সাইমুন বলেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে অংশগ্রহণকারী একজন ছাত্র। একান্ত নিরুপায় হয়ে আমি আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার অবস্থান তুলে ধরতে বাধ্য হচ্ছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয় জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। কিন্তু সে ফলাফল আজ ধ্বংসের পথে। কতিপয় সুবিধাবাদী লোকের জন্য আমিসহ আমার সহযোদ্ধাদের জীবন আজ হুমকির মুখে। প্রতিটা মুহূর্ত প্রাণনাশের ঝুঁকিতে আছি। সম্প্রতি ১৩ নং খানপুর ইউনিয়নের মুন্সিখানপুর গ্রামের হাসান খান বাপ্পির ওপর হামলা হয়। এ ঘটনার পর থেকে আমিসহ আমার সহযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বাপ্পিসহ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বাপ্পি ইউনিয়নের একজন ছাত্রলীগের নেতা ছিল। পরে যুবলীগে যোগদান করে। খামারবাড়ি বাজারের চিহ্নিত সন্ত্রাসী জামাল খান ও বাপ্পির ক্যাডার বাহিনী ইউনিয়নে এমন কোনো খারাপ কাজ নেই যা করেনি। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, হামলা, মামলা বাণিজ্য, জমি দখল, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, খামারবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ধ্বংস, এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরাট এক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিল। পুরো ইউনিয়নবাসী তাদের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। প্রাণ হারানোর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতেন না। ৫ আগস্টের পর থেকে বাপ্পি ও জামালসহ তার পুরপ ক্যাডার বাহিনী আত্মগোপনে চলে যায়। কিছুদিন আগে বাপ্পি এলাকায় এসেছে শুনে আমরা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে যাই । এ সময় সে ও তার পরিবারের সদস্যরা আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। আমরা আত্মরক্ষার চেষ্টা করি। এতে বাপ্পি সামান্য আহত হয় । একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় সে পালাতে সক্ষম হয়। কিন্তু তারপর থেকে সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদেরকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। একইসাথে তার ক্যাডার বাহিনীও আবার সোচ্চার হয়ে পরিস্থিতি খারাপ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমিসহ আমার সহ যোদ্ধারা এখন প্রতিটা মুহূর্ত প্রাণ ভয়ে থাকি | তারা সবাই চিহ্নিত সন্ত্রাসী । হেন কোনো কাজ নেই যা তারা করতে পারে না | আমি প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি, অতি দ্রুত এসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের লোকেশন ট্রক করে ধরে আইনের আওতায় আনুন | নইলে আমাদের জুলাই অভ্যুত্থান বিফলে যাবে। এতগুলো শহীদের রক্ত বৃথা যাবে। বাংলাদেশ আবার নৈরাজ্যের পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হবে। দয়া করে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীদেরকে আইনের আওতায় আনুন। বক্তব্য পাঠ শেষে মণিরামপুরবাসীকে  ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে ছাত্রজনতার প্রতিনিধিরা স্বৈরাচারের দোসরদের উপযুক্ত শাস্তি পেতে মণিরামপুরে রিপোর্টার্স ক্লাবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

Apr 3, 2025 - 11:17
 0  26
মণিরামপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার সংবাদ সম্মেলন

আপনার অনুভূতি কী?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow