যবিপ্রবির উপাচার্য হিসেবে যোগ দিলেন ড. আব্দুল মজিদ
যশোর প্রতিনিধি: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিটিউক্যাল কেমেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ কার্যালয়ে যোগদানপত্রে স্বাক্ষরের মাধ্যমে তিনি যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এর আগে গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে নিয়োগের এ তথ্য জানানো হয়। যোগদানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ ১৯৫২ থেকে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরবর্তীতে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন। এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতার প্রাণহানি এবং এখনো অনেকে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা না জানানোর অনুরোধ করেছেন তিনি। যবিপ্রবিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা হলো আমাদের মূল উপাদান, ওরা আছে বলেই আমরা আছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি তাঁদের জ্ঞান যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারে, তাহলে পৃথিবীর সব জায়গায় তাঁরা স্থান করে নেবে। আমাদের সময় নষ্ট করা যাবে না, সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে হবে।’ এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ থেকে ১৯৯৪ সালে স্নাতক, ১৯৯৫ সালে স্নাতকোত্তর ও ২০০৩ সালে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি জাপানের টোটরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। শিক্ষকতার কর্মজীবন শুরু হয় ২০০১ সালে এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে। পরবর্তীতে তিনি ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেবে প্রভাষক যোগ দেন। তিনি ২০০৭ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১০ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৩ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনি ১৯৭৩ সালের ৬ এপ্রিল ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের রিশখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। (ছবি আছে) ##### বাড়ির সেফটি ট্যাংকে পাওয়া গেল গৃহবধূর লাশ যশোর প্রতিনিধি: যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভাটপাড়া এলাকায় সেপটি ট্যাঙ্ক থেকে সবিতা রাণী দে (৫৩) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশীর শৌচাগারের সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। গত সোমবার সকালে বাড়ির পাশের বাঁশবাগানে গরুর খাদ্য সংগ্রহ করতে যাওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। নিহত সবিতা রাণী দে ভাটপাড়া গ্রামের মিলন কুমার দে’র স্ত্রী। মিলন পেশায় চা বিক্রেতা। এ ছাড়া তিনি সিঙ্গাড়া ও পুরি ভেজে বিক্রি করেন। উপজেলার ভাটপাড়া বাজারে তাঁর একটি চা এবং সিঙ্গাড়া ও পুরি বিক্রির দোকান আছে। মিলন কুমার দের ভাগ্নে তাপস কুমার দে জানান, মামী সবিতা রাণী দে এবং মামা মিলন কুমার দে’র দুই মেয়ে। তাঁদের বিয়ে হয়ে গেছে। মামা ও মামী দুজনে বাড়িতে থাকতেন। তাঁদের দুটি গরু আছে। গতকাল সোমবার সকালে তাঁরা দুজনে বাড়িতে সকালের নাস্তা খান। দুপুরের খাবার নিয়ে মামা দোকানে চলে যাওয়ার পর সকাল নয়টার দিকে মামী ঘরে তালা দিয়ে একটি ঝুড়ি নিয়ে গরু দুটির খাদ্য বাঁশের পাতা সংগ্রহ করতে পাশের বাঁশবাগানে যান। এরপর থেকে তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। দুপুরে কয়েকবার ফোন করে মামীকে না পেয়ে মামা পাশের বাড়ির এক গৃহবধূকে বিষয়টি জানান। তিনি বাড়িতে যেয়ে ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। ওই নারী প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানালে তাঁর খোঁজ শুরু হয়। এলাকার লোকজন বাঁশবাগানে যেয়ে তাঁর মাথার খোঁপা এবং কয়েকটি বাঁশের পাতা পড়ে থাকতে দেখতে পান। গভীর রাত পর্যন্ত অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় তাঁকে খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাঁশবাগানের এক পাশে নিয়ামুল ইসলামের শৌচাগারের সেফটি ট্যাংকের ঢাকনা কিছুটা উঁচু দেখতে পাওয়া যায়। এলাকার কয়েকজন সেফটি ট্যাংকের ঢাকনা উঁচু করতেই একটি হাত বেরিয়ে আসে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া দেওয়া হয়। উপজেলার ভাটপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ যেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সেফটি ট্যাংক থেকে মামীর লাশ উদ্ধার করে। অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, ভাটপাড়া গ্রামের একটি বাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে গৃহবধূ সবিতা রাণী দে’র লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।(ছবি নেই) ##### যশোরে বিজিবির অভিযানে প্রায় আড়াই কোটি টাকার স্বর্নসহ ১ জন আটক, পরিত্যক্ত অবস্থায় ১৯০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার যশোর প্রতিনিধি: আজ বুধবার সকালে খুলনা ও যশোর ব্যাটালিয়নের ২১ও ৪৯ বিজিবি'র সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় আলাদা আলাদা অভিযানে সোনা ও ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা সোনা পাচারের অভিযোগেএক ব্যক্তিকে আটক করেছে। যশোর ৪৯ বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয় বেনাপোল সদর বিওপি সদস্যরা এক অভিযান অভিযান চালিয়ে বেনাপোল কাঁচাবাজার থেকে মোঃ কদম আলী (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে।এসময় তার কাছ থেকে পাঁচটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। আটক কদম আলী বেনাপোলের পুটখালী গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে। উদ্ধার হওয়া৫ টি স্বর্ণের বার ২ কেজি ৩০০গ্রাম। যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন ৪৯ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক। এছাড়া আজ বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে খুলনার ব্যাটালিয়ন ২১ বিজিবি যশোর সীমান্তে দায়িত্বে থাকা পাঁচভূলাট বিওপিতে কর্মরত হাবিলদার মনির হোসেনের নেতৃত্বে একটি টহল দল পাঁচভূলাট চরের মাঠ নামক স্থান থেকে ১৯০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করেন। যার আনুমানিক মূল্য ৭৩ হাজার টাকা বলে
আপনার অনুভূতি কী?