যশোরের শার্শায় দাফনের ২ মাস পর আদালতের নির্দেশে গৃহবধূর লাশ উত্তোলন
যশোর প্রতিনিধি: যশোরের শার্শায় দাফনের ২ মাস পর আদালতের নির্দেশে তাসলিমা খাতুন(৩৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের আমলাই গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে এ লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম। নিহত তাসলিমা খাতুন শার্শা উপজেলার আমলাই গ্রামের নূর আহম্মেদের স্ত্রী। লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট নুসরাত ইয়াসমিন ও বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম সহ পুলিশের একটি টিম। নূর আহম্মেদ জানান,২৬ অগাস্ট ফজরের নামাজের জন্য ভোরে মসজিদে যাই। নামাজ শেষে মসজিদে মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বাড়ি এসে তিনি স্ত্রীকে ডাকাডাকি করেন। পরে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরে যেয়ে দেখি স্ত্রী খাটের ওপর পড়ে আছে। মাথার পেছনের ওপর একটি বালিশ পড়ে রয়েছে। সে বালিশ সরিয়ে নিলে একটি আঘাতের ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়। পরে পরিবারের চাপে পড়ে ময়নাতদন্ত ছাড়া তাকে দাফন করা হয়। পরে স্ত্রীর মৃত্যুটা স্বাভাবিক মৃত্যু নই এটা হত্যা বলে মনে করি তাই হত্যাকারি হিসেবে আপন দুই ভাইপোর নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করি।আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান নুর আহম্মেদ। পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন,এঘটনায় আটক নজরুল ইসলাম হেলালির ছেলে ইসমাইল হোসেন ও রফিকুল ইসলামের ছেলে নাইম হোসেন পুলিশ রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। শহীদদের স্মরণে বাউবির ৩২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস প্রকাশনার শুভ উদ্বোধন যশোর প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান মহান জুলাই ২৪ এর শহীদদের স্মরণে উৎসর্গ বাউবির ৩২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস- ২০২৪ উপলক্ষে দেয়ালিকা "আলোকবর্তিকা" প্রকাশনার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়। বুধবার সকালে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় যশোরের আঞ্চলিক অফিস মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়। বাউবির যশোর আঞ্চলিক পরিচালক শেখ সোহেল আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর সরকারি এম এম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খন্দোকার এহসানুল কবির এবং উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আবু বক্কার সিদ্দিকী। প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন-বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হল গরিবের পড়াশোনার স্থান। এখানে অসচ্ছল এবং চাকুরিজীবীরা উচ্চতর ডিগ্রী গ্রহণ করে তাদের জীবন জীবিকা উন্নততর পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার কোন বয়স লাগে না। যেকোনো বয়সের নর-নারী এখানে পড়াশোনা করেন। এজন্যই বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশেষ অতিথি উপাধ্যক্ষ আবু বক্কার সিদ্দিকী বলেন- এ বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির পর থেকেই দেশের সকল বয়সের মানুষদের মাঝে পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্য মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ ইলিয়াস উদ্দীনসহ ৬ উপ- আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়কারীগণ।
আপনার অনুভূতি কী?