রুপালীর মিথ্যা মামলায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
মোঃ মিরাজুল শেখ, স্টাফ রিপোর্টার: বাগেরহাটের যাত্রাপুর লাউপলা গ্রামের শেখ আইয়ূব আলীর কন্যা রুপালী আক্তার রুপার মিথ্যা মামলায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, খোজ নিয়ে জানা য়ায় রুপালী আক্তার রুপা বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বখাটে ও মাদক সেবনকারীদের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছেন,একাদিক বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে এই নারী এখন এলাকার মাদক ব্যাবসা ও বেসামাজিক কর্মে লিপ্ত রয়েছেন,বিভিন্ন সময় রাত বেরাতে তার বাসায় অপরিচিত লোকজনের আসাযাওয়া দেখে এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ জানাইলে রুপালী পুলিশ দিয়ে হয়রানি করতেন বলে জানা গেছে। যাত্রাপুর পুলিশ ফাড়ির ততকালীন একাদিক পুলিশ সদস্যের সাথে রুপালীর সখ্যতা ছিলো সেই সুবাদে এলাকাবাসী কে পুলিশের ভয় দেখিয়ে রুপালীর মাদক ব্যাবসা ও অশ্লিল কর্মকান্ড চালিয়ে যেত বলে অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, রুপালীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস অত্র এলাকায় কারো নেই,রুপালী তার দুই স্বামীর নামে ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়,তিনি আরো জানান, রুপালীর মামলা থেকে রেহাই পেতে তার প্রথম স্বামী দেশে ছেড়ে বিদেশে চলে গেছেন,২য় স্বামী ও ৫লক্ষ টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। স্থানীয় একাদিক সুত্রে যানা যায় রুপালীর প্রথম স্বামীর ঘড়ের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে, যার বয়স বর্তমানে ১৭/১৮বছর, রুপালী তার সন্তান তার বাবা আইয়ূব আলীর কাছে রেখে বাগেরহাট রেল রোডে একটি ভাড়া বাসায় উঠেন,সেখানে একা একা তার অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যেতেন,রেল রোড এলাকায় খোজ নিয়ে জানা যায় সেখানে আসে পাশের লোকজন জানতে পেরে রুপালীকে তিব্র প্রতিবাদের মূখে সম্মুখীন হতে হয়,এক পর্যায় তোপের মূখে সেখান থেকে বাসা ছেড়ে পূনরায় লাউপলা গ্রামে তার বাবার বাড়িতে বসবাস করতে শুরু করেন। গত (২৭ মে) যাত্রাপুর ইকোপার্কে রুপালীর ছেলে শহরিয়ার মাহমুদ পরশকে একটি মেয়ে নিয়ে পার্কে গুড়তে দেখা যায়,স্থানীয় লোকজন পরশের কাছে মেয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে উপস্থিত লোকজন ধরে চর থাপ্পড় মেরে রুপালী ও রুপালীর বাবা শেখ আইয়ূব আলীকে ডেকে পরশকে তাদের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনার প্রায় একমাস পরে উদ্যেশ্য প্রনোদিত ভাবে এলাকার সহজ সরল স্কুল কলেজ পড়ুয়া একাদিক ছাত্র সহ দিন মজুর ভ্যান চালকের নামে বাগেরহাট কোর্টে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন,মামলার এজাহারে উল্লেখ করা ঘটনার সাথে আসামীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই,শুধু মাত্র হয়রানির উদ্যেশে এবং এলাকায় আতংক ও ভয় সৃষ্টির লক্ষে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে,মামলায় ভূক্ত ভূগু ও এলকাবাসি রুপালীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষনের দাবি জানিয়েছেন,,
আপনার অনুভূতি কী?