সাব্বির-ঝড়ের পরও ঢাকার টানা পঞ্চম পরাজয় চিটাগং কিংসের দুই ব্যাটার—

পরাজয়ের বৃত্তে ঘুরতে থাকা ঢাকা ক্যাপিটালসকে আশার প্রদীপ দেখালেন সাব্বির রহমান। একের পর এক ছক্কায় এনে দিলেন লড়াইয়ের পুঁজি। কিন্তু ধুঁকতে থাকা ঢাকা পরাজয়ের ঘানি টানা থেকে বেরুতে পারছে না। এবার তারা পেল পঞ্চম পরাজয়ের স্বাদ। ৭ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো চিটাগং কিংস। আগের দুই ম্যাচে শৃঙ্খলা জনিত কারণে দলে ছিলেন না। কিন্তু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে সাব্বিরের ওপর এদিন আস্থা রেখেছিল তার দল ঢাকা। সেই আস্থারই দারুণ প্রতিদান দিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে খেলেছেন ৩৩ বলে ৮২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ৯ ছক্কার এই ইনিংস পুরোনো দিনের সাব্বিরকে মনে করিয়েছে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। ১৪ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে তাদের রান ছিল ৩ উইকেটে ৮৮। দুই বিদেশি জেসন রয় (১) ও স্টেফেন এসকিনাজি (৫) ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। শাহাদাত হোসেন দিপুও দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি। তবে ইনিংস ধরে রেখেছিলেন তানজিদ হাসান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮ বলে ৫৪ রান করেন এই ওপেনার। তাকে একপ্রান্তে রেখেই সাব্বির রহমান খেলেন বিধ্বংসী ইনিংস। আর তাতেই মূলত ঢাকা ক্যাপিটালস তুলতে পেরেছিল ৫ উইকেটে ১৭৭ রান, যা এবারের টুর্নামেন্টে তাদের সর্বোচ্চ। শিশিরের কারণে প্রথম ইনিংসেই সহজ ছিল না বল করা। দ্বিতীয় ইনিংসে তো শিশির আরও বেশি! ফলে যা হবার, তাই হয়েছে। ঢাকার ১৭৭ রান ৩ বল বাকি থাকতেই টপকে গেছে চিটাগং কিংস। সেটিও মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে। উসমান খানের ফিফটির পর শামীম হোসেনের ঝড়ো ফিনিশিংয়ে এই জয় পায় চিটাগং। উসমান খেলেছেন ৩৩ বলে ৫৫ রানের কার্যকর ইনিংস। এরপর জয় পেতে বাকি কাজটা মিলেমিশে করেছেন গ্রাহাম ক্লার্ক, মোহাম্মদ মিঠুন ও শামীম হোসেন। ৩৯ রান করে আউট হন ক্লার্ক। মিঠুন ও শামীম দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। মিঠুন অপরাজিত ছিলেন ৩৩ রানে এবং শামীম ১৪ বলে ৩০ রানে। ৩ ম্যাচে এটি চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয়। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন খালেদ আহমেদ। ২১ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন চিটাগং কিংসের এই পেসার

জানুয়ারি 10, 2025 - 09:15
 0  4
সাব্বির-ঝড়ের পরও ঢাকার টানা পঞ্চম পরাজয় চিটাগং কিংসের দুই ব্যাটার—

আপনার অনুভূতি কী?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow