কুষ্টিয়ায় পাঁচ ভাতের হোটেলে আগুন: এলাকাবাসীর অভিযোগ, চলছিল দেহ ব্যবসা!
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি—কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের মহিষাডাঙ্গা ১১ মাইল এলাকায় রবিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে উত্তাল হয়ে ওঠে স্থানীয় জনতা ও ছাত্রসমাজ। অভিযোগ, ভাতের হোটেলের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল অবৈধ দেহ ব্যবসা। এ ক্ষোভ থেকেই পাঁচটি হোটেলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৩টার দিকে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে জিয়ার, শ্যাকম, রুহুল, ইকরামুল ও মহির উদ্দিনের মালিকানাধীন হোটেলগুলোতে ভাঙচুর চালায় এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং হোটেলগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা ও স্থানীয়দের অভিযোগ, বহুবার হোটেল মালিকদের এসব অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধের আহ্বান জানানো হলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। হোটেলগুলোতে নিয়মিতই বহিরাগতদের আনাগোনা থাকত এবং রাতে অসামাজিক কার্যকলাপ চলত বলে জানান তারা। এর ফলে এলাকার যুব সমাজ বিপথগামী হচ্ছিল, যা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ছিল। স্থানীয় এক সমাজ প্রধান জানান, “আমরা বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা থামেনি। বাধ্য হয়েই এলাকাবাসী এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।” তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ায় কেউ কেউ সমালোচনা করছেন। ঘটনার বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, কিছুদিন আগেও ওই এলাকার কয়েকটি হোটেল থেকে কিছু নারীকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। এ ছাড়াও হোটেল মালিকদের সতর্ক করা হয়েছিল। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। হোটেল মালিকদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আপনার অনুভূতি কী?






