প্রেমের টানে প্রেমিকার বাড়িতে এক সন্তানের জননীর অবস্থান- অতঃপর
স্টাফ রিপোর্টার-প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে বিপাকে পড়েছেন এক গৃহবধু। প্রেমিকের দেয়া বিয়ের আশ্বাস পেয়ে ঘর ছাড়েন ওই গৃহবধু। তবে প্রেমিকের বাড়িতে আশ্রয় নেয়ার পর থেকে লাপাত্তা রয়েছেন প্রেমিক নাজমুল হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা গ্রামের মধ্যপাড়ায়। প্রেমিক নাজমুল হোসেন ওই গ্রামের মোতালেব হোসেনের পুত্র। অপরদিকে, ঘরছাড়া গৃহবধূর বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলায়। ১৪ বছর বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে ওই গৃহবধুর। রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এদিন সকালে বিয়ের আশ্বাস পেয়ে নাজমুলের বাড়িতে আসে ওই গৃহবধূ। তারপর থেকেই নাজমুল লাপাত্তা। বাড়ির লোকজনও নাজমুলের খোঁজ জানেন না বলে জানান। নাজমুল নিজেও বিবাহিত। সেও এক সন্তানের জনক। ভিকটিম গৃহবধূ জানান, মোবাইলে রঙ নাম্বারে ফোনকলের সূত্র ধরে নাজমুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ওই গৃহবধূকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রাজশাহীতে এনে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান নাজমুল। বিভিন্ন সময় টাকা পয়সাও হাতিয়ে নিয়েছেন নাজমুল। কথা ছিলো এবারের ঈদুল ফিতরের পরে নাজমুল তাকে বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে আসবে। গত ৩ এপ্রিল ভিকটিম গৃহবধূকে সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে নিয়ে আসে নাজমুল। এরপর বিভিন্ন জায়গায় একসাথে রাত্রি যাপন করে তারা। শনিবার (৪ এপ্রিল) পুঠিয়া উপজেলার বাণেশ্বর বাজারে কাজী অফিসে বিয়ে করার কথা ছিলো। কিন্তু নাজমুলের আর খোঁজ মেলেনি। বাধ্য হয়ে রোববার সকালে নাজমুলের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন ভিকটিম। ভিকটিম গৃহবধূ আরো অভিযোগ করেন, নাজমুলের বাড়ির লোকজন তাকে শারীরিকভাবে নিগৃহীত ও লাঞ্ছিত করেছে। সুষ্ঠ প্রতিকার পেতে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। নাজমুলের স্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই মেয়েকে আমরা চিনিনা। সে সকালে এসে দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করে এবং নাজমুলের খোঁজ চায়। দরজা খোলার সাথে সাথেই সে জোরপূর্বক বাড়িতে ঢুকতে চাইলে আমরা বাধা দিই। এ সময় তার সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তবে তাকে মারধোর বা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়নি। ঝালুকা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাজেনা বিবি জানান, ঘটনাটি শুনেছি। সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গ্রাম পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরিষদে বসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুর্গাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোনো খবর পায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার অনুভূতি কী?






