কেশবপুরের, ১শ’ ১০ গ্রামে জলাবদ্ধতা কমতে শুরু করেছে পানি
আবু জার গিফারী কেশবপুর প্রতিনিধি:- যশোরের কেশবপুরে জলাবদ্ধ ১শত ১০ গ্রাম কেশবপুর পৌর শহরসহ উপজেলার ১০৪ গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। নদ-নদীর নাব্য না থাকায় বৃষ্টির পানি বের হতে পারছে না। ফলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। উপজেলার ৩ হাজার ৮শত’ ৩০টি পরিবারের ৩৯ হাজার ৩শ’ ২০ জন মানুষ জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তারা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। মনিরামপুর থেকে আসা ৫২ বিলের পানি এসে ২৭ বিলে এসে পড়ছিলো এজন্য পানি বাড়ছিলো ২৭ বিলে। গত ৩ দিন আগে সুফলাকাটী ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান সহ তার ইউপি সদস্য বৃন্দ সহ পাঁজিয়া ইউনিয়ন থেকে সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বি এন পির সভাপতি মাষ্টার মকবুল হোসেন মুকুল সহ অনেকে ৫২ বিলের পানি আসছিলো সেখানে বাধ দিয়ে এসেছে বর্তমানে পানি ক্রমই কমতে শুরু করেছে পানি। এ ছাড়াও ঘের ভেসে গিয়ে মৎস্য ও কৃষিখাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খেটে খাওয়া দিনমজুররা বেকার হয়ে পড়েছে। তারা জীবিকা নির্বাহ করতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। জলাবদ্ধ পরিবারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে। নিম্নচাপের প্রভাবে কেশবপুর উপজেলার ১শ’৪৪টি গ্রামের মধ্যে ১শ’ ১০টি গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। এতে উপজেলার ৩ হাজার ৮শ’ ৩০টি পরিবারের ৩৯ হাজার ৩শ’ ২০ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে পৌরসভার মধ্যকুল, হাবাসপোল, বালিয়াডাঙ্গা, আলতাপোল, সাবদিয়া, বায়সা, ভবানিপুর, ভোগতী-নরেন্দ্রপুর, বাজিতপুরসহ, পাজিয়া,বেতীখোলা নারায়পুর আড়ুয়া,কলাগাছি,সুফলাকাটী,ভেরচি, পাথরঘাটা সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ঘরে-ঘরে পানি জমে গেছে। কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন বলেন, কেশবপুর উপজেলার ১১০টি গ্রাম বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এবং আমরা নদি খননের কাজ শুরু করেছি। যাহাতে পানি সরতে পারে।
আপনার অনুভূতি কী?