জাল ওয়ারেশ সার্টিফিকেট দিয়ে জমি দখল চেষ্টা, আলোচিত ভূমিদস্যু শম্ভু ও বিপুলের নামে আদালতে মামলা।
যশোর প্রতিনিধিঃ যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের মালিডাঙ্গা গ্রামে ভূয়া তথ্য দিয়ে ওয়ারেশ সার্টিফিকেট দিয়ে ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখলের অভিযোগে বহুল আলোচিত ভূমিদস্যু শম্ভু নাথ মল্লিক ও তার ছেলে আরজু মল্লিক বিপুলের নামে জাল ওয়ারেশ সার্টিফিকেট দিয়ে মৃত মশিউর রহমানের ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখলের অভিযোগে তামান্না রহমান নামে একজন ভুক্তভোগী আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত মামলা টি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। মামলার আসামীরা হলো সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের মালিডাঙ্গা গ্রামের মৃত গোপালচন্দ্রের ছেলে শম্ভু নাথ মল্লিক ও শম্ভু নাথ মল্লিকের ছেলে আরজু মল্লিক বিপুল। আদালতে দায়ের করা অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন যশোর সদর থানার ২৩২ নং মালিডাঙ্গা মৌজার অবস্থিত সম্পত্তি যথাক্রমে- ১। এস,এ খতিয়ান- ১০৪, আর এস খতিয়ান- ১৩৫, সাবেক দাগ-১৪৮, আর এস দাগ- ৭৮, জমির পরিমান-৪৬ শতক। ২। এস.এ খতিয়ান- ১০৪, আর এস খতিয়ান- ১৩৫, সাবেক দাগ- ১৪৮, আর এস দাগ-৭৯, জমির পরিমান- ১০ শতক। ৩। এস.এ খতিয়ান -৯৩, আর এস খতিয়ান- ১৩৫, সাবেক দাগ-১৪৬, আর এস দাগ- ৮৪, জমির পরিমান- ১৯ শতক। ৪। এস.এ খতিয়ান- ১০৫, আর এস খতিয়ান- ১৩৫, সাবেক দাগ-১৪৯, আর এস দাগ- ১০৭, জমির পরিমান- ২৯ শতকের মধ্যে উত্তরাংশের ২১ শতক। ৫। এস.এ খতিয়ান- ১০৫, আর এস খতিয়ান- ১৩৫, সাবেক দাগ-১৫১, আর এস ১০৮ জমির পরিমান ১৫ শতকের মধ্যে পূর্বাংশের ৮ শতক। ৬। এস.এ খতিয়ান-১০৫, আর এস খতিয়ান- ১৩৫, সাবেক দাগ-১৫২, আর এস দাগ- ১০৯, জমির পরিমান- ১২ শতকের মধ্যে পশ্চিমাংশের ৬ শতক। অর্থ্যাৎ সর্বমোট- ১.১০ একর শতক জমি। উক্ত সম্পত্তির এস এ ও আর এস রেকর্ডীয় কাজী মশিউর রহমান ও মোছাঃ নুরুন নাহার বেগম নিজ নামে নামপত্তন করে সকল খাজনা পরিশোধ করে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখল করে আসছে। অভিযোগে বর্ণিত আসামীরা উক্ত তফসীল বর্ণিত সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে কোন প্রকার আইন আদালতের আদেশের তোয়াক্কা না করে জোর পূর্বক দখল করার চেষ্টা করছে। আসিতেছে। বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। সরেজমিনে খোজ নিলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান মুলত এই জমিটা শ্রী বিধান চন্দ্র কর্মকার নিয়োগী ও তার অপর ৫ ভাই এর কাছ থেকে ডাঃ হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যাক্তি ক্রয় করে পরবর্তীতে ডাঃ হাবিবুর রহমান এর কাছ থেকে দেয়াপাড়া গ্রামের কাজী মশিউর রহমান ক্রয় করেন। কিন্তু সুচতুর ও ভূমিদস্যু শম্ভু নাথ মল্লিক ও তার ছেলে আরজু মল্লিক বিপুল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাল ওয়ারেশ কায়েম সনদ নিয়ে জোর পুর্বক কাজী মশিউর রহমানের ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করলে কাজী মশিউর রহমান বাধা প্রদান করেন এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার দের জাল ওয়ারেশ সার্টিফিকেটের বিষয় জানালে ১৩ নং কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তদন্ত কমিটি করে সরেজমিন খোজ নিয়ে ভূল তথ্যে জাল ওয়ারেশ কায়েম সনদ নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসলে চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লিখিত আকারে জাল ওয়ারেশ সার্টিফিকেট বাতিল করলেও ভূমিদস্যু শম্ভু নাথ মল্লিক ও তার ছেলে আরজু মল্লিক বিপুল পুনরায় ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে কাজী মশিউর রহমানের জমি জোর পুর্বক দখল করতে আসলে কাজী মশিউর রহমানের একমাত্র ছেলে নাইমুর রহমান হিমেল বাধা প্রদান করলে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করে শম্ভু নাথ বিপুল সহ সন্ত্রাসীরা যা নিয়ে যশোর আদালতে মামলা চলমান আছে। এলাকাবাসী ভূমিদস্যু শম্ভু নাথ মল্লিক ও তার ছেলে আরজু মল্লিক বিপুলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শাস্তি দাবী জানান। ভূয়া ওয়ারেশ সার্টিফিকেটের বিষয়ে কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান কে জানতে চাইলে তিনি জানান তিনি জানান ভূল তথ্য দিয়ে শম্ভু নাথ মল্লিক ও তার ছেলে আরজু মল্লিক বিপুল ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেট নিয়েছিলো পরবর্তীতে জাল জালিয়াতির বিষয় জানতে পারলে তৎক্ষনাৎ সংশ্লিষ্ট মেম্বারদের নিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে লিখিত আকারে ওয়ারেশ কায়েম সনদ বাতিল করা হয়েছে এবং বাতিল করার পরেও কাজী মশিউর রহমানের জায়গা দখল করার চেষ্টা করছে বলে শুনেছি এবিষয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোর পিবিআই এর এসআই হাবিবুর রহমান জাল ওয়ারেশ সার্টিফিকেট নিয়ে জমি দখলের চেষ্টার বিষয়ে আদালতের মামলা কপি পেয়েছি তদন্ত চলছে।
আপনার অনুভূতি কী?