ঝিকরগাছায় সমবায় সমিতির জমি বিক্রিতে জালিয়াতি: দলিল লেখক আটক, মামলার প্রস্তুতি।
স্টাফ রিপোর্টার:-যশোরের ঝিকরগাছায় শ্রমজীবী সমবায় সমিতির ১৯ শতক জমি বিক্রিতে জালিয়াতির অভিযোগে ঝিকরগাছা সাবরেজিস্টার অফিসের সিনিয়র দলিল লেখক মনসুর আলী মোল্লাকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাবরেজিস্টার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভুপালী সরকার। এ সময় জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত সিলসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। আটক মনসুর আলী মোল্লা ঝিকরগাছা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের মৃত বাবর আলী মোল্লার পুত্র। ঘটনার সূত্রে জানা যায়, ৫০৬ খতিয়ানের আর এস ১১৮০ ও আর এস ১৫৯৮ নম্বর দাগের ১৯ শতক জমি ২০০৬ সালে সমবায় সমিতি ক্রয় করে ভোগদখলে রাখে। এরপর ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ সমিতির পক্ষে মোঃ মিন্টুর স্বাক্ষরে ১৮৯৪/২০২৫ নম্বর দলিলের মাধ্যমে এই জমি ২৫ লাখ টাকায় গদখালি ইউনিয়নের বামনালি গ্রামের ইসরাফিল হুসাইনের কাছে বিক্রি করা হয়। ইসরাফিল জমির নামজারির আবেদন করলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত করে সাবরেজিস্টার অফিসে অভিযান চালিয়ে দলিল লেখক মনসুরের কার্যালয় থেকে সমিতির রেজুলেশন খাতা ও তিনটি সিল উদ্ধার করেন। সমিতির সভাপতি মোঃ মিন্টু দাবি করেছেন, সমিতির নাম থাকলেও এটি নিবন্ধিত নয়। ৩৪ জন সদস্যের সিদ্ধান্তে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে জমি বিক্রির কাজ করেন। ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে সদস্যদের মধ্যে কিছু টাকা বিতরণ করা হয়েছে এবং বাকী টাকা ক্রেতা পরিশোধের পর বণ্টন করা হবে। তিনি অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভুপালী সরকার বলেন, জমি বিক্রি বিধি অনুসারে হয়নি এবং জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এজন্য মনসুর আলী মোল্লাকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয়রা জানান, বর্তমান সাবরেজিস্টার শাহিন আলম যোগদানের পর থেকে অফিসটি ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তারা দ্রুত কর্মকর্তার বদলী ও সাবরেজিস্টার অফিস উপজেলা কার্যালয়ে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন।

আপনার অনুভূতি কী?






