টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে না পারার আক্ষেপ কি ঘুচবে?
মিরপুরে কাল থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার প্রথম টেস্ট। নয় বছর পর বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে এসেছে প্রোটিয়ারা। তাদের বিপক্ষে সবশেষ হোম সিরিজে ড্র করেছিল টাইগাররা। এবার শান্তর দলের সামনে বাংলাদেশের হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়ার পালা। কেননা, টেস্ট খেলা দলগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত দুইটি দলের বিপক্ষে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। যার একটি এই প্রোটিয়ারা, অপরটি ভারত। টেস্টে প্রোটিয়ারাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান শোচনীয়। দুই দলের মধ্যকার ১৪ টেস্টের মধ্যে ৮টিতেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। আর সাফল্য কেবল ২০১৫ সালে খেলা দুটি টেস্ট ড্র। যদিও বৃষ্টির কারণে সেবার দুই টেস্টেই পুরো পাঁচদিন খেলা হয়নি। ২০০২ সালের অক্টোবরে টেস্টে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল দুদল। প্রথম ম্যাচে ইস্ট লন্ডনে ইনিংস ও ১০৭ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে হারে আরও বড় ব্যবধানে। ওই টেস্টে ইনিংস ব্যবধানের সাথে হারে ১৬০ রান। পরের বছর অর্থাৎ ২০০৩ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ সফর করে প্রোটিয়ারা। সেবারও দুই ম্যাচেই হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। চট্টগ্রামে ইনিংস ও ৬০ রানের পর ঢাকায়ও হেরেছিল ইনিংস ও ১৮ রানের ব্যবধানে। পাঁচবছর পর আবারও বাংলাদেশে দুই টেস্ট খেলতে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেবার গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বে মিরপুরে প্রথম টেস্ট ৫ উইকেটে জিতেছিল প্রোটিয়ারা। চট্টগ্রাম টেস্টে ইনিংস ও ২০৫ রানের ব্যবধানে হেরেছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। এর ছয় মাস পর (২০০৮ সালের নভেম্বরে) দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায় বাংলাদেশ। সেবারও হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ব্লুমফন্টেইনে গ্রায়েম স্মিথ ও হাশিম আমলার ব্যাটে ইনিংস ও ১২৯ রানের ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা। পরের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়নেও ইনিংস এবং ৪৮ রানের হার নিয়ে ফিরতে হয় আশরাফুলের দলকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা টেস্টে সফলতা বলতে দুটি ড্র’ই। ২০১৫ সালে হাশিম আমলার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফরে আসে প্রোটিয়ারা। সেবার খেলা দুটি টেস্টই ড্র করে বাংলাদেশ। যদিও বৃষ্টির কারণে দুটি টেস্টই পুরো পাঁচদিন করে খেলা হয়নি। এই সিরিজের পর আর বাংলাদেশ সফরে আসেনি প্রোটিয়ারা। যদিও এই সিরিজের পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে দুবার দুটি করে চারটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। যার প্রতিটিই হেরেছে বড় ব্যবধানেই। ২০১৭ সালে পচেফস্ট্রুম টেস্টে ৩৩৩ রানের পর ব্লুমফন্টেইন টেস্টে ইনিংস ও ২৫৪ রানে হারে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে খেলা বাংলাদেশ। সবশেষ ২০২২ সালে মুমিনুল হকের নেতৃত্বে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। সেবারও ভাঙেনি হারের বৃত্ত। ডারবানে ২২০ রানের ব্যবধানে হারের পর পোর্ট এলিজাবেথে মুমিনুলের দল হেরেছিল ৩৩২ রানে। তাই এবার দেখার পালা ঘরের মাঠে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আরাধ্য সেই জয় তুলে নিতে পারে কিনা নাজমুল হোসেন শান্তর দল
আপনার অনুভূতি কী?