পাহাড়ে বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদে শাহবাগে মানববন্ধন

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়ে বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের আয়োজনে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মানবাধিকার কর্মী দীপায়ন খীসার সঞ্চলনায় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী। সমাবেশে সংহতি বক্তব্য দেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের কার্যকরী সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহকারী সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান লিপন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম প্রমুখ।অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পার্বত্য সমস্যার সমাধান না হলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের সমস্যার সমাধান হবে না। পাহাড়িরা নিরাপদ না থাকলে বাংলাদেশও নিরাপদ থাকবে না। সেই ১৯৭৬ সাল থেকে পাহাড়ে যেভাবে সমস্যাগুলো বাড়িয়ে তোলা হয়েছে তাতে ক্রমশ পাহাড়িদের অধিকারকে সংকুচিত করা হয়েছে। অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, অনেকে বলে থাকেন পাহাড়ের আদিবাসীরা বিচ্ছিন্নতাবাদী। কিন্তু আমি এক্ষেত্রে একটা কথা বলি। আপনারা অনেকে দেখেছেন পাহাড়ে গত দশ বছর আগেও সেভাবে নেটওয়ার্ক ছিল না। কিন্তু নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলো বিজ্ঞাপন দিত- বাংলাদেশের ৬১ জেলায় নেটওয়ার্ক। কিন্তু বাংলাদেশের জেলা কী ৬১টি? পাহাড়ী মানুষজন সবসময় নেটওয়ার্কের মধ্যে আসতে চেয়েছিল। কাজেই যারা নেটওয়ার্কের মধ্যে আসতে চায় তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী না কি যারা বিচ্ছিন্ন রাখতে চায় তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী? এ প্রশ্নগুলো থেকে যায় না? পাহাড়ের সমস্যাকে নিরাপত্তার চশমায় না দেখে পাহাড়িদের চশমা দিয়ে দেখতে হবে। পাহাড়ের সমস্যা সমাধানের জন্য পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই৷ বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা খালেকুজ্জামান লিপন বলেন, দেশে আর মৃত্যুর মিছিল দেখতে চাই না। মব জাস্টিসের নামে আইনের লঙ্ঘন করা বন্ধ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবে ফিরিয়ে আনতে হবে। খাগড়াছড়ি এবং রাঙামাটিতে সংঘটিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। পাহাড়ের সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে সংবিধানে পাহাড়ি মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পার্বত্য চুক্তির বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাকির হোসেন বলেন, বাংলাদেশে যে বিশাল পরিবর্তন হয়েছে তার মাধ্যমে দেশ নতুন করে গঠন হতে হবে। নতুন বাংলাদেশের সূচনায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রভৃতি বিষয়গুলো দ্রুত ঠিক করতে হবে। এসময় তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের মৌলিক বিষয়গুলো সংস্কারের জন্য সময়সীমাভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।

Sep 22, 2024 - 20:19
 0  3
পাহাড়ে বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদে শাহবাগে মানববন্ধন

আপনার অনুভূতি কী?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow