বিশ্বকাপ বাছাই: নেইমার-এন্ড্রিককে ছাড়াই ব্রাজিলের দল ঘোষণা
চলতি বছর আরও ব্রাজিলের জার্সিতে খেলা হচ্ছে না নেইমারের। চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরলেও বছরের শেষ আন্তর্জাতিক বিরতিতে হলুদ জার্সিতে নামা হচ্ছে না এই স্ট্রাইকারের। শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য ঘোষিত ব্রাজিলের স্কোয়াডে জায়গায় হয়নি তার। শুধু নেইমার নয়, দরিভালের দেয়া ২৩ সদস্যের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তরুণ স্ট্রাইকার এন্ড্রিকেরও। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ১৪ নভেম্বর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামবে সেলেসাওরা। এরপর ২০ নভেম্বর উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা। এই দুটি ম্যাচ ছাড়া চলতি বছর আর ব্রাজিলের কোনো ম্যাচ নেই। ফলে আগামী বছর হয়তো নেইমারকে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাবে। এক বছরের বেশি সময় দলের বাইরে থাকার পর এ মাসের আন্তর্জাতিক বিরতিতে জাতীয় দলে ফেরার কথা ছিল নেইমারের। কিন্তু সেই অপেক্ষা আপাতত শেষ হচ্ছে না। নেইমারকে দলে না রাখা নিয়ে কোচ দরিভাল বলেছেন, ‘নেইমারের সঙ্গে যা ঘটছে, সবকিছু কাছ থেকেই পর্যবেক্ষণ করছি। গত দুই মাসে দুই–তিনবার তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা সবাই তার উন্নতির ব্যাপারে মনোযোগী। সে পুরোপুরি সেরে উঠেছে। কিন্তু মাঠে সে খুব কম মিনিটই পেয়েছে। এটা বড় একটি কারণ। আমার পরেরবার তাকে ফেরানোর জন্য প্রস্তুত থাকবো, সেও প্রস্তুত থাকবে।’ নেইমার দলে থাকতে চেয়েছিলেন জানিয়ে দরিভাল বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, সে দলে থাকতে চেয়েছিল। এবার তাকে দলে রাখতে পারলে আমিও খুশি হতাম। তবে তাকেও পরিস্থিতি বুঝতে হবে। সে খুব কম মিনিটই মাঠে পেয়েছে। দরিভালের দলে নেইমার-এন্ড্রিকের জায়গা না হলেও প্রথমবারের মতো সেলেসাও শিবিরে জায়গা হয়েছে নটিংহাম ফরেস্টের ২২ বছর বয়সী সেন্টার ব্যাক মুরিলোর। এছাড়া দলে ফিরেছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়রও। ব্রাজিলের ২৩ সদস্যের স্কোয়াড গোলরক্ষক: বেন্তো, এডারসন, ওয়েবেরটন। রক্ষণভাগ: দানিলো, ভ্যান্ডারসন, আবনের, গিলের্মো আরানা, মিলিতাও, গাব্রিয়েল মাগলায়েস, মার্কিনিওস, মুরিলো। মাঝমাঠ: আন্দ্রে, ব্রুনো গিমারেস, গারসন, লুকাস পাকুয়েতা, আন্দ্রেস পেরেইরা। আক্রমণভাগ: এস্তেভাও, রদ্রিগো, লুইস হেনরিক, সাভিনিও, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, জেসুস, রাফিনিয়া। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্বে ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ স্থানে আছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় কলম্বিয়া ও ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় উরুগুয়ে। গোল ব্যবধানে ব্রাজিলের চেয়ে এগিয়ে থাকায় এক ধাপ ওপরে রয়েছে উরুগুয়ে।
আপনার অনুভূতি কী?