ভেলায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে এস এস সি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ।
মোহাম্মদ নয়ন চৌধুরি ভোলা ॥ ঘরের পাশে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টয়লেটে গেলে এক এসএসসি/দাখিল পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হচ্ছেন বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর কাজী। শুক্রবার রাত এগারোটার দিকে হাসাননগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে ভুক্তভোগীর নিজ ঘরের পাশে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওমর কাজী উপজেলার হাসাননগর ইউনিয়নের শাহজান কাজী বাড়ীর বশির কাজীর ছেলে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই। ভুক্তভোগী দাখিল পরীক্ষার্থী জানান, আমার এসএসসি/দাখিল পরীক্ষা একটা শেষ হয়েছে বাকি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, রাত ১১ টার দিকে ঘরের পাশে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টয়লেটে গেলে আগ থেকেই ওঁৎ পেতে ছিল ছাত্রলীগ নেতা ও ধর্ষক ওমর কাজী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুখ চেপে বাগানের ভিতরের দিকে নিলে চিৎকার চেচামেচি করলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগীর মা অভিযোগে জানান, ধর্ষণের শিকার হয়ে ঘরে এসে আমার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। রাতেই এ ঘটনা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে আমাকেও (মাকে) গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগও ওঠে ধর্ষকের বিরুদ্ধে। পরে চিৎকার চেচামেচির এক পর্যায় ধর্ষক ওমর কাজীকে স্থানীয় বাসিন্দারা আটক করলে, ছিটকে চলে যায়। শিক্ষার্থীর বড় ভাই জানান, আমার ছোট বোন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টয়লেটে গেলে ধর্ষণের শিকার হন। বাবা ডেকেও ছাত্রলীগের ধর্ষেণের লালসা থেকে রক্ষা পায়নি আমার বোনটি। অসুস্থ শিক্ষার্থীকে তাৎক্ষণিক বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ভোলা সদর হাসপাতালের ডা. তায়বুর রহমান জানান, সকল ধরনের চিকিৎসা আমরা দেই। পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষ করে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে রোগীর অবস্থা এখন আশংকা মুক্ত। বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান জানান, পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। মামলা হয়েছে, আসামি গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান।

আপনার অনুভূতি কী?






