রসায়নে নোবেল পেলেন দুই মার্কিন ও এক ব্রিটিশ
গত ৭ অক্টোবর থেকে ঘোষণা করা হচ্ছে চলতি বছরের বিষয়ভিত্তিক নোবেল বিজয়ীদের নাম। এ ধারাবাহিকতায় এ বছর রসায়নে নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। বুধবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে ২০২৪ সালের রসায়নে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। এ বছর রসায়নে নোবেল বিজয়ীরা হলেন ডেভিড বেকার, ডেমিস হ্যাসাবিস এবং জন এম. জাম্পার। পুরস্কারটি দুই ভাগে প্রদান করা হয়েছে। প্রথম ভাগটি পেয়েছেন ডেভিড বেকার। তিনি প্রোটিনের কম্পিউটারভিত্তিক নকশার জন্য সম্মানিত হয়েছেন। দ্বিতীয় ভাগটি যৌথভাবে পেয়েছেন ডেমিস হাসাবিস ও জন এম. জাম্পার। তারা প্রোটিনের জটিল গঠন পূর্বানুমানের জন্য একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল তৈরি করেছেন। ডেভিড বেকার প্রোটিনের নতুন ধরনের কাঠামো তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, যা দীর্ঘদিন ধরে অসম্ভব বলে বিবেচিত হত। এই আবিষ্কার জীববিজ্ঞান এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে। অন্যদিকে, ডেমিস হাসাবিস এবং জন এম. জাম্পারের যৌথ গবেষবণায় প্রোটিনের জটিল ত্রিমাত্রিক গঠন পূর্বানুমানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেডেভিড বেকার ১৯৬২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৯ সালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনে অধ্যাপনা করছেন। ডেমিস হাসাবিসের জন্ম ১৯৭৬ সালে লন্ডনে। ২০০৯ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। তিনি গুগল ডিপমাইন্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অপরজন, জন এম. জাম্পারের জন্ম ১৯৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাসে। ২০১৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো থেকে পিএইচডি অর্জন করেন তিনি। বর্তমানে গুগল ডিপমাইন্ডের সিনিয়র রিসার্চ সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন এ বিজ্ঞানী। তাদের আবিষ্কারগুলো ভবিষ্যতে চিকিৎসা, জীবপ্রযুক্তি এবং জৈব রসায়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীরা পাচ্ছেন একটি নোবেল মেডেল, একটি সনদপত্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর অর্থমূল্য প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে অর্ধেক অর্থ পাবেন ডেভিড বেকার এবং বাকি অর্ধেক ডেমিস হ্যাসাবিস ও জন এম. জাম্পারের মধ্যে সমান ভাগে বণ্টন করা হবে। উল্লেখ্য, ১৯০১ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে। ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। তার উইল করে রেখে যাওয়া সম্পদের অর্থ থেকেই প্রতি বছর প্রদান করা হয় নোবেল পুরস্কার।
আপনার অনুভূতি কী?