"রেজাল্ট খারাপ হবে"—চিরকুট লিখে ভোলায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক আত্মহত্যা।
ভোলা প্রতিনিধি | মোহাম্মদ নয়ন চৌধুরী, তজুমদ্দিন, ভোলা এসএসসি পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফল হবে না—এই আশঙ্কায় চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করলো মালিহা আফরিন সিমি (১৬) নামে এক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সিমি স্থানীয় মাছুমা খামন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বাপ্তা মুছাকান্দি গ্রামের সাইফুল ইসলাম ফরাজির কন্যা। পরীক্ষার চাপেই শেষ জীবনের সিদ্ধান্ত? পরিবারের দাবি, গণিত ও আইসিটি বিষয়ে পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সিমি। রেজাল্ট ভালো হবে না—এমন আশঙ্কা থেকেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। মৃত্যুর আগে সিমি একটি চিরকুট লিখে যান, যেখানে তিনি পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে জানান, সমাজ ও আপনজনের মুখ দেখাতে পারবেন না বলেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রাতে দীর্ঘ সময় রুমের দরজা না খোলায় মায়ের সন্দেহ হয়। পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তিনি। মায়ের আর্তচিৎকারে ছুটে আসেন আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের ভাষ্য: ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার জানান, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সমাজতাত্ত্বিক মন্তব্য: বিশেষজ্ঞদের মতে, পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ, পারিবারিক প্রত্যাশা ও সামাজিক সংকোচন অনেক সময় কিশোর-কিশোরীদের এমন চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। এই মৃত্যু আমাদের জন্য কেবল দুঃখজনক নয়, একটি বড় শিক্ষা—পরীক্ষা কখনোই জীবনের শেষ কথা নয়। --- পরামর্শ: এমন সংবেদনশীল সংবাদ প্রকাশের সময় নিচের মতো সতর্কতামূলক বার্তাও যুক্ত করা যেতে পারে— “পরীক্ষা বা জীবনের যেকোনো সংকটে হতাশ না হয়ে পাশে দাঁড়ান, কথা বলুন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। জীবন সবার আগে।”

আপনার অনুভূতি কী?






