স্বাস্থ্য সেবায় ধুঁকছে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: চার লক্ষ মানুষের ভরসা এখন অনিশ্চিত।
শাহিন বিশ্বাস পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি। সাতক্ষীরার তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র হিসেবে প্রায় চার লক্ষ মানুষের চিকিৎসার ভার বহন করছে। কিন্তু বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি নানা সংকটে জর্জরিত। ডাক্তার সংকট, অভিজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব এবং ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়া অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালে অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার আধুনিক যন্ত্র থাকলেও সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নেই। অভিজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে সেগুলো অলস পড়ে রয়েছে। প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসার আশায় হাসপাতালের দ্বারস্থ হলেও অনেকেই প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নিয়মিত অফিসে পাওয়া যায় না। এতে হাসপাতাল পরিচালনায় অনিয়ম দেখা দিচ্ছে এবং রোগীদের দুর্ভোগ বেড়ে চলেছে। জরুরি সেবা প্রয়োজন হলেও অনেক সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক বা কর্মকর্তা অনুপস্থিত থকেন। এ বিষয়ে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তা ডাক্তার রাজীব সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আপনার কথাগুলো অযৌক্তিক আমি তা বলবো না। আমাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসক নাই। আমাদের ৫০ শয্যার হাসপাতালে ৩৪ জন ডাক্তারের প্রয়োজন থাকলেও বর্তমানে আমি সহ মাত্র ১১ জন ডাক্তার দিয়ে আমরা স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে যাচ্ছি।" তিনি ডাক্তার অনুপস্থিতির অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ডাক্তার থাকেন না এটা ঠিক নয়। তারা পালাক্রমে ডিউটি করেন।" কর্তব্যরত কর্মকর্তাকে না পাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাকে সব সময় অফিসে পাওয়ার কথা না, কারণ অনেক সময় সিভিল সার্জনের কাছে যেতে হয় অথবা মিটিংয়ে থাকতে হয়। যেমন আমি এখন চুকনগর থেকে আপনার সঙ্গে কথা বলছি, আমি এখন মিটিংয়ে রয়েছি।" হাসপাতালের অবকাঠামো প্রসঙ্গে তিনি জানান, আমাদের অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। এটি ১৯৬৮ সালের পুরনো বিল্ডিং, যা বর্তমানে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা সরেজমিনে পরিদর্শনও করেছেন। তবে জানি না কেন কাজ হচ্ছে না। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন স্যারও বিষয়টি জানেন। আশা করছি আগামী অর্থবছরে নতুন বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু হবে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের আহ্বান—জনগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগ ও যন্ত্রপাতি সচল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। স্বাস্থ্য সেবায় ধুঁকছে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: চার লক্ষ মানুষের ভরসা এখন অনিশ্চিত শাহিন বিশ্বাস পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি। সাতক্ষীরার তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র হিসেবে প্রায় চার লক্ষ মানুষের চিকিৎসার ভার বহন করছে। কিন্তু বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি নানা সংকটে জর্জরিত। ডাক্তার সংকট, অভিজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব এবং ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়া অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালে অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার আধুনিক যন্ত্র থাকলেও সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নেই। অভিজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে সেগুলো অলস পড়ে রয়েছে। প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসার আশায় হাসপাতালের দ্বারস্থ হলেও অনেকেই প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নিয়মিত অফিসে পাওয়া যায় না। এতে হাসপাতাল পরিচালনায় অনিয়ম দেখা দিচ্ছে এবং রোগীদের দুর্ভোগ বেড়ে চলেছে। জরুরি সেবা প্রয়োজন হলেও অনেক সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক বা কর্মকর্তা অনুপস্থিত থকেন। এ বিষয়ে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তা ডাক্তার রাজীব সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আপনার কথাগুলো অযৌক্তিক আমি তা বলবো না। আমাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসক নাই। আমাদের ৫০ শয্যার হাসপাতালে ৩৪ জন ডাক্তারের প্রয়োজন থাকলেও বর্তমানে আমি সহ মাত্র ১১ জন ডাক্তার দিয়ে আমরা স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে যাচ্ছি।" তিনি ডাক্তার অনুপস্থিতির অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ডাক্তার থাকেন না এটা ঠিক নয়। তারা পালাক্রমে ডিউটি করেন।" কর্তব্যরত কর্মকর্তাকে না পাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাকে সব সময় অফিসে পাওয়ার কথা না, কারণ অনেক সময় সিভিল সার্জনের কাছে যেতে হয় অথবা মিটিংয়ে থাকতে হয়। যেমন আমি এখন চুকনগর থেকে আপনার সঙ্গে কথা বলছি, আমি এখন মিটিংয়ে রয়েছি।" হাসপাতালের অবকাঠামো প্রসঙ্গে তিনি জানান, আমাদের অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। এটি ১৯৬৮ সালের পুরনো বিল্ডিং, যা বর্তমানে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা সরেজমিনে পরিদর্শনও করেছেন। তবে জানি না কেন কাজ হচ্ছে না। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন স্যারও বিষয়টি জানেন। আশা করছি আগামী অর্থবছরে নতুন বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু হবে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের আহ্বান—জনগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগ ও যন্ত্রপাতি সচল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

আপনার অনুভূতি কী?






