হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় ছাড়াই উচ্ছেদের চেষ্টা
মোঃ জীবন শেখ, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।।জাতীয় গৃহায়ণ কতৃপক্ষে উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হাউজিং এস্টেটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় তারা। এসময় নিশান মোড় - বজলুর আড়ত এলাকার মধ্যবর্তী ৬০ ফিট রাস্তা সংলগ্ন কালীশংকরপুর এলাকার মৃত সাত্তার খাঁর ছেলে মো: মুকুল খাঁর পত্রিক বসতভিতায় অভিযান চালানোর চেষ্টা করে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং র্যাবের সহায়তায় এসময় উচ্ছেদ অভিযানে অভিযান চালায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। ১৩ই জানুয়ারী সোমবার দুপুর ২টায় উক্ত অভিযানে উচ্ছেদ করতে আসা জমিতে মামলা মোকদ্দমা চলমান থাকার বিষয় জমিতে বসবাসকারী মো: মুকুল খাঁ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জাতীয় গৃহায়নের রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলীকে হাইকোর্টের মামলা মোকদ্দমার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ অবগত করলেও তারা উচ্ছেদের জন্য মো: মুকুল খাঁ বসতভিটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং উক্ত বসতভিটা ও এর সামনে মুকুল খাঁর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে মালামাল সরানোর জন্য চাপ দিতে থাকে। এসময় স্থানীয় জনগণ উক্ত জমিতে মামলার বিষয় থাকার প্রসঙ্গ জানতে পেরে উচ্ছেদ বন্ধ করার জন্য ওই অভিজানে আসা কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করে। পরে বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে উচ্ছেদ কারী দল। এ বিষয়ে মুকুল খাঁর সাথে কথা বললে তিনি জানান, উক্ত জমিতে ২০১৩ সালে সদর দেং-২৪০/২০১৩ মামলা দায়ের করে তার ওয়ারিশগণ। উক্ত মামলাটি বিজ্ঞ কুষ্টিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ১৫ই জানুয়ারি ২০১৭ সালে রায় প্রদান করে। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আমরা আপিল করি। যার নম্বর ১২/২০১৭। মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা দ্বিতীয় আদালতে ১৩ই জুন ২০১৭ সালে রায় প্রদান করলে আমি এই রায়ের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে একটি সিভিল রিভিশন দায়ের করি যার নম্বর ২৩৩৭/২০১৭। উক্ত রিভিশন মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের স্থিতি অবস্থা বাতিল করে পুনরায় নিম্ন আদালতের শুনানির জন্য নির্দেশ দেয়। যেহেতু হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো প্রদান করা হয়নি তাই এর মত অবস্থায় উচ্ছেদ হাইকোর্ট অবমাননার শামিল বলে আমি মনে করি । আমি জমির মামলার সমস্ত কাগজপত্র উচ্ছেদে আসা দলে কাছে দেখালেও তারা এসব উপেক্ষা করে আমাদের মাথা গোজার শেষ স্থান টুকুও কেড়ে নিতে অভিযান চালায় তারা। আমি অভিযানে আসা সকলের বিচার চাই এবং এর সাথে জড়িত মোছা: রওশন আক্তারের ছেলে তনু এর বিচার চাই। অভিযানে আসা জাতীয় গৃহায়নের রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম সাথে কথা বললে তিনি জানান, হাইকোর্ট মামলা খারিজ করে দিয়েছে। তবে উক্ত জমি সংক্রান্ত মামলার হাইকোর্টের নির্দেশনার কাগজপত্র দেখালে বললে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। এ ব্যাপারে উক্ত জমির দাবিদার রওশন আক্তারের ছেলে তনুকে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। তবে নিম্ন আদালতের স্থিতি অবস্থা বাতিলের কথা জানান তিনি
আপনার অনুভূতি কী?