১৫৯ পদের দ্বায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে যশোরের ইউএনওকে

যশোর প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার একাই সামাল দিচ্ছেন ১৫৯ পদের ভার। তিনি যশোর সদর উপজেলাসহ জেলার ৮টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি সরকারের দেয়া বাড়তি দায়িত্বও পালন করে যাচ্ছেন। সদর উপজেলার ১০৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪৭টি মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে ইউএনওকে। দেখতে হয় তাদের ফাইলপত্র, কোনো প্রতিষ্ঠানের মামলা অভিযোগ আবেদন থাকলে সেখানে বাড়তি সময় ব্যয় করতে হয়। শিক্ষা বিভাগের ৪ টি দায়িত্বও সামলাতে হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি না থাকায় এভাবে অন্তত ১৫৯টি পদের দায়িত্ব সামলাতে বাড়তি চাপ সামলাতে হয় তার। উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থানীয় সভাপতি না থাকায় সব পদের দায়িত্ব সামলাতে পরিশ্রম করছেন এই উপজেলা নির্বাহী অফিসার। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শূন্যস্থানের কাজগুলোও উপেজলা নির্বাহী অফিসারের কাঁধে। বিভিন্ন দপ্তরের স্থায়ী কমিটিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিভিন্ন কমিটিতে উপদেষ্টা ও কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকতেন। তারা না থাকায় উপজেলা প্রশাসক হিসেবে সব কমিটির দায়িত্ব এখন উপজেলার নির্বাহী অফিসার সামলিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া জুলাই বিপ্লবপরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানসহ নানা জনের লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ শোনা এবং সেগুলোর সমাধানও অনেক ক্ষেত্রে তাকেই করতে হচ্ছে। জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা কমিটি থেকে শুরু করে শিক্ষা, কৃষি উন্নয়ন, প্রতিবন্ধী ভাতা, হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা, বয়স্ক-বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত ভাতা, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, মাতৃত্ব ভাতা, চোরাচালান প্রতিরোধ, এনজিও সমন্বয়, টেন্ডার, টিআর-কাবিটা, বিভিন্ন দিবস উদযাপনসহ উপজেলা পর্যায়ে সরকারি দপ্তরগুলোর বিভিন্ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ইউএনও। এখন সমন্বয় সভাও পরিচালনা করতে হচ্ছে তাকেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা স্বাভাবিকভাবে ৩৫ থেকে ৪০টি কমিটির সভাপতি থাকেন। তবে এখন তাদের কাঁধে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বসহ অন্তত ১৫৯টি পদের ভার। যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রেসক্লাব যশোরের সহসভাপতি শেখ দিনু আহমেদ জানান, উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের কাছে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসতেন বিভিন্ন ধরনের সেবা নিতে। এখন উপজেলা চেয়ারম্যান না থাকায় সকল কাজের চাপ উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের উপর। যশোর দদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, এতগুলো দায়িত্ব একা পালন করতে বাড়িতি পরিশ্রম হলেও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করতে ভালোই লাগে। আমার অফিসের সকল কর্মীরা আন্তরিকতার সাথে জনগনের সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। উপজেলায় এসে কেউ যেন ভোগান্তিতে না পড়েন সে দিকে রয়েছে আমাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি

ফেব্রুয়ারি 13, 2025 - 08:57
 0  1
১৫৯ পদের দ্বায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে যশোরের ইউএনওকে

আপনার অনুভূতি কী?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow