ঝিনাইদহ জমির মালিকানা নিয়ে প্রশাসন-গ্রামবাসীর বিরোধ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন।
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি—ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না বাওড়ের ১২৬.৪৫ একর বিল শ্রেণির জমির মধ্যে ২৯.৪৫ একর জমির মালিকানা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বেড়াদী গ্রামের ৩৫ ব্যক্তি। তাদের দাবি, এসএ ও আরএস রেকর্ডে জমিগুলো তাদের নামে রেকর্ডভুক্ত। তথাপিও সরকার এই জমি ইজারা দিয়ে দখলের চেষ্টা করছেন। অবশ্য, সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, সিএস রেকর্ডে নড়াইল জমিদার এস্টেটের নামে ১২৬.৪৫ একর জমি রেকর্ডভুক্ত ছিল। এসএ এবং আরএস রেকর্ডে ২৯.৪৫ একর জমি এলাকার কিছু মানুষ তাদের নামে রেকর্ড করিয়ে নেয়। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। একাধিক মামলায় সরকারপক্ষে রায় দেন আদালত। ফলে গোটা জমি সরকারের, বিল শ্রেণির জমি ব্যক্তি মালিকানায় যাওয়ার সুযোগ নেই। বুধবার (৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহাদেব রায়। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির পাশ্ববর্তী সাগান্না বাওড়ের জলমহাল ইজারা দেয়ার সময় সরকার ব্যক্তি মালিকানাধীন বেড়াদী গ্রামের জমিও অন্তর্ভূক্ত করছে। যা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। এরই মধ্যে সদর এসিল্যান্ড অফিস ঐ জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না বাওড়ের (বেড়াদী মৌজাভুক্ত) মোট জমির পরিমাণ ১২৬.৪৫ একর। এই জমি নড়াইল জমিদার এস্টেটের মালিকানাধীন ছিল। পরে জমিদারী বিলুপ্ত হলে ১৬৭ নং দাগভুক্ত ওই সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে চলে যায়। তবে একই দাগভুক্ত মোট জমির মধ্যে ২৯.৪৫ একর জমি সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের বেড়াদী গ্রামের কিছু ব্যক্তির নামে রেকর্ড হয়ে যায়। এসএ ও আরএস রেকর্ডমূলে বেড়াদী গ্রামের লোকজন ওই জমি ভোগদখল করছেন। কিন্তু একই দাগে থাকা বিল শ্রেণির জমির কিছু অংশের শ্রেণি পরিবর্তন করে ব্যক্তির নামে রেকর্ডের ঘটনাটি জেলা প্রশাসনের নজরে এলে তারা মামলা করেন। মামলার রায়ে মোট ১২৬.৪৫ একর জমির মালিকানা সরকারের বলে ঘোষিত হয়। রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে আপিলও করেন বেড়াদী গ্রামের কয়েকজন কৃষক।

আপনার অনুভূতি কী?






